হে প্রবাসী............
তোমরা যাহারা,
আত্মহারা,
যারা ভালোবাসিবার বিশ্বপথ,
হারায়েছ, হারায়েছ আপন জগৎ,
রয়েছে আত্মবিরহী গৃহকোণে,
বিরহের ব্যথা নেই মনে।
আমি কবি পাঠালেম তোমাদের উদ্ভ্রান্ত পরানে....."
রবি ঠাকুর উপলব্ধি করেছিলেন, প্রবাসীদের "আত্মবিরহী" হওয়ার কারণ। সেই উপলব্ধিই আজ সঞ্চারিত হয়েছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও। বিগত দুইটি বছর ধরে করোনা মহামারী আমাদের জীবন বদলে দিয়েছে। বদলেছে অভ্যাস, প্রতিশ্রুতি,চাওয়া - পাওয়া, ইচ্ছে সবকিছুই.... সেই নিয়েই অর্ঘ্য ঘোষালের নতুন ভাবনা "প্রবাসী।"
"প্রবাসী" মূলতঃ একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি, যেখানে কথার পাশাপাশি গানই মুখ্য। গীতিকার,সুরকার , গায়ক ও অভিনেতা অর্ঘ্য ঘোষাল এই পর্বে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি প্রমাণ করেছেন। সংলাপ রচনা ,পরিচালনা ,গল্পের বুনন ও প্লটে শ্রী পীযুষ ঘোষ মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন, পাশে সঙ্গত করেছেন শ্রী অর্ঘ্য ঘোষাল। "আলোকচিত্র"র প্রযোজনায় প্রাঞ্জল ও সাবলীল একটি কাজ উপহার পেলাম আমরা। অর্ঘ্য বাবুর পাশাপাশি অভিনয়ে সুচন্দ্রা সাহা বেশ সাবলীল। প্রযোজনা ও আয়োজনে অর্পণ ঘোষ, অভিষেক কর, সৌম্য ভট্টাচার্য্যের মত একঝাঁক নব উন্মাদনা এ বছরের পুজোয় এই নব উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন বলে জানিয়েছেন গীতিকার।
"প্রবাসী" পৌঁছে গেছে প্রবাসীদের ঘরে ঘরে। মুক্তি পাওয়ার পর মানুষের উচ্ছ্বাস, আবেগ সেটা বারংবার প্রমাণ করে দিয়েছে। বার্লিন দুর্গোৎসব কমিটির বাঙালি সদস্যগণ তাদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন পুরো টিমকে।
প্রতিদিন হাজার কাজের ব্যস্ততায় কাছে মানুষদের সঙ্গেও দূরত্ব বাড়ে, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে ভৌগোলিক দূরত্ব যে আদতে কিছুই নয়, মনের টান যে আবেগসর্বস্ব বাঙালির অস্তিত্ব, তা প্রমাণ করতেই যেন অর্ঘ্য ঘোষালের সৃষ্টি এই গান। আর তাই শুরুতে "দুর্গা বন্দনা" কোথাও শেষ অংশে দুই বন্ধুর মিলনে এসে মিশে যায়....."হোক যতই অন্যরকম পুজো, তোমার মাঝেই আমাকেই খুঁজো।" ভালো থাকুক প্রবাসী, ভালো থাকুক কাছে আসার, পাশে থাকার, হৃদ - মাঝারের মানুষরা।