নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে রয়েছ নয়নে নয়নে, হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে হৃদয়ে রয়েছ গোপনে।
কবিগুরু ভালোবাসাকে এভাবেই ব্যাখ্যায়িত করেছিলেন। বলেছিলেন, ভালোবাসা তো তাই, যা দেয় অনন্তের আস্বাদ। সময় আর প্রেক্ষিত বদলালেও ভালোবাসা অবিরত আমরা এভাবেই খুঁজতে অভ্যস্ত। তেমনভাবেই এবার ভালোবাসাকে ছুঁলেন শিল্পী শ্রী অর্ঘ্য ঘোষাল।
৯ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রথম সারির মিউজিক লেবেল সিডি প্লাস এন্টারটেইনমেন্ট থেকে মুক্তি পেলো অর্ঘ্য ঘোষালের স্বাধীন বাংলা গানের মিউজিক্যাল Shorts "Love".. ইতিমধ্যেই শ্রোতা ও দর্শকদের মনে সাড়া জাগিয়েছে এই নতুন কাজ। দুই বাংলার অজস্র মানুষের ভালোবাসায় আপ্লুত শিল্পীরা।
সিডি প্লাসের CEO হাম্মাদ রশিদ জানান যে,তিনি ভীষণ ভাবে খুশি ঢাকায় বসে অর্ঘ্যের মত কলকাতার এরকম তরুণ এক সম্ভবনাময় মিউজিক মেকারের সাথে কাজ করে। অর্ঘ্যর কথা অনুযায়ী, এই বছর কোভিডের জন্য ওপারে যাওয়া সম্ভব হয়নি। অনলাইনেই ওপারে কাজ করার স্বপ্নপূরণ হয়েছে তাঁর। পুজোর পরেই অর্ঘ্য এবং সিডি প্লাসের কোলাবোরেশনে অনেক কাজ আসবে মিউজিক ডিরেক্টর হিসাবে বাংলাদেশী নাটকে।
অর্ঘ্য জানাচ্ছেন আরও "ইন্ডিয়াতে থেকে এই প্যান্ডেমিকে সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের কিছু অচেনা মানুষের সাথে চেনা ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, যাদের আমি কয়দিন আগেও চিনতাম না কিন্তু তারা যেভাবে পাশে থেকেছেন তাতে আমার বাংলাদেশের মানুষদের প্রতি ভালোবাসা আরো কয়েকগুন বেড়ে গেছে , আমি বর্ডার খুললে বাংলাদেশ গিয়ে ওই মানুষগুলোর সাথে কিছু আনন্দের সময় কাটাতে চাই"।
রেডিও জকি হিসেবে কাজ করা শুরু, তারপর মিউজিকের পুরোনো নেশা পেয়ে বসে। কলকাতায় বেশ কয়েকটি কাজের সাফল্যের পর বাংলাদেশের সাথে কাজ করে বেশ আশাবাদী অর্ঘ্য, নতুন প্রতিভাদের নিজের জায়গা করে নেওয়াতে একটু লড়াই থাকলেও তা অসম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন মিউজিক ডিরেক্টর অর্ঘ্য ঘোষাল। মৌলিক ও স্বাধীনভাবে কাজ করার ইচ্ছে থেকেই একের পর এক অসাধারণ কাজ উপহার দিয়ে চলেছেন অর্ঘ্য। আগামী দিনেও তাঁর সাফল্যের গতি অব্যাহত থাকবে, সেই শুভ কামনায় "পরিদর্শক।"