অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) কথা দিয়েছিলেন, পথকুকুরদের দত্তক নিয়ে তাদের দেখভাল করলে, তাঁর সঙ্গে কফি ডেটে যাবেন অভিনেত্রী। কথা রাখেন এক নেটিজেন। দত্তক নেন এক সারমেয়কে। যে সারমেয় দত্তক নেওয়ার জন্য শ্রীলেখা মিত্রের সঙ্গে ডেটে গিয়েছিলেন তিনি, তাকে খুন করেছেন শশাঙ্ক ভাবসর (Shasanka Bhavsar)। সোমবার রাতে ফেসবুকে শশাঙ্ক লেখেন, "টুম্পা আর আমাদের মধ্যে নেই।" এরপরেই ফেসবুক লাইভ করে দময়ন্তী সেন খুনের অভিযোগ আনেন শশাঙ্কের বিরুদ্ধে।
এরপরেই এদিন বিদেশ থেকেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন শ্রীলেখা। লেখেন, "আমার নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে, কেন যে ওই বদমাশটাকে দিলাম। তুমি না রেড ভলান্টিয়ার? আমার থেকে যে কুকুর ছানাকে নিলে তার হদিশ দাও। এত বড় সাহস? রাখতে না পারলে নিয়েছিলে কেন?" ফেসবুক ভিডিও বার্তা দিতে গিয়ে কেঁদেও ফেলেন অভিনেত্রী।
তবে এসবের মধ্যেই গতকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া শশাঙ্ক ও শ্রীলেখাকে নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল। এসবের মধ্যেই ভাইরাল একটি ভিডিও। যেখানে দেখা গিয়েছে মারধর করা হচ্ছে শশাঙ্ককে। যেখানে দেখা গিয়েছে, শশাঙ্কের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়পরিজন, পাড়ার লোক গোটা ঘটনার প্রতিবাদ করছেন।
তবে চুপ ছিলেন শশাঙ্ক। এর সঙ্গেই আরও একটি ভিডিও সামনে আসে যেখানে দেখা গিয়েছে, পশুপ্রেমী ফোরামের সদস্যরা শশাঙ্কের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় এবং তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে রাস্তায় এনে চড়, লাথি মারতে শুরু করে। তবে সংবাদ মাধ্যমের কাছেও মুখ খুলতে নারাজ শশাঙ্ক। যদিও দুই তরফ থেকে বেলঘড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অন্যদিকে, গোটা বিষয়টা নিয়ে ফের মুখ খোলেন শ্রীলেখা। শেয়ার করেন ভিডিও।
তিনি লেখেন, "আমাকে কে কী বলল, তাতে সত্যি আমার কিছু যায়ে আসে না। কারও নিজের বাচ্চা মারা গেলে সে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারত কি? না আমি জাস্টিফাই করছি না। যাঁরা ওই ছেলেটাকে মেরেছে তাঁদের। কিন্তু জানেন তো, এই নোংরা রাস্তার কুকুরগুলো, আমাদের সন্তানসম, তাই সন্তানের মৃত্যুতে তারা জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছিল। আপনাদের হলে আপনারা কী করতেন? যখন সবাই দলে দলে তৃণমূল, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছিল, তখন শ্রীলেখা ছিল সিপিআইএমের প্রচারে। তাই নিজেকে ছাড়া কারও কাছে কৈফিয়ৎ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।"