গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (Krishnakumar Kunnath Death) ওরফে কেকের মৃত্যুতে হতভম্ব সকলেই। সকালে ময়নাতদন্তের পর, আজ রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) তরফে গান স্যালুট দেওয়া হয় কৃষ্ণকুমার কুন্নাথকে। ইতিমধ্যেই কলকাতা থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গায়কের দেহ। এসবের মাঝে জাতীয় পুরস্কার পাওয়া গায়ক রূপঙ্করের সামাজিক মাধ্যমে আসা দায়। কেন?
গত সোমবার রূপঙ্করের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পোস্ট হওয়া একটি ভিডিও, যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "KK- KK-KK, কে? হু ইজ কে! আমরা যে কোনও কের থেকে ভালো গাই।" এরপরে কার্যত ট্রোলের বন্যা বয়ে যায় গায়কের কমেন্ট বক্সে। রূপঙ্করের এমন মন্তব্যের চব্বিশ ঘন্টা কাটতে না কাটতে মৃত্যু হয় কেকে-র। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই গতকাল রাত থেকে রূপঙ্কর বাগচীর কমেন্টে উপছে পড়া কটাক্ষের ভিড়। অধিকাংশই কেকে-র মৃত্যুর জন্য দায়ী করছেন রূপঙ্করের মন্তব্যকে।
সোশ্যাল মিডিয়াতেও বহু তারকা থেকে আমজনতা, রূপঙ্করকে কটাক্ষ করে এমনকি সরাসরি ট্যাগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেকে-র মৃত্যুতে কার্যত খলনায়কের ভূমিকায় রূপঙ্করকে বসিয়েছেন অধিকাংশই। আজ সকালেই পুলিশের দারস্থ হয়েছেন রূপঙ্কর বাগচীর স্ত্রী। তাঁরা নাকি রীতিমতোন আতঙ্কিত, কারণ সঙ্গীতশিল্পী কেকে (KK) -র মৃত্যুর পর বুধবার রূপঙ্করের ফোন মারফত খুনের হুমকি আসছে।
তবে এবার কিছুটা ব্যতিক্রমী সুর অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের মুখে। তাঁর পোস্ট দেখে স্পষ্ট, তিনি কোনও কটাক্ষ কিংবা ক্ষোভ চাননা। রূপঙ্কর বাগচী তাঁর খুব কাছের মানুষ না হলেও, তিনি চিন্তিত গায়ককে নিয়ে। এত কটাক্ষের মাঝে রূপঙ্করের যেন কিছু না হয়, তিনি যেন সুস্থ থাকেন। তাঁর পরিবারের যেন ক্ষতি না হয়, মনে প্রাণে এটাই চাইছেন শ্রীলেখা। তাই তাঁর পোস্টে উঠে এসেছে, 'ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের কথা না তুলে আঙুল উঠছে রূপঙ্করের দিকে। তিনি নিজেই বিবেকের দংশনে ভুগছেন। রূপঙ্করদার কিছু হয়ে গেলে আমরা নিজেদের ক্ষমা করতে পারব তো?'