২০২১ সাল থেকে বাঙালি দর্শকের মনে জায়গা করে নিতে শুরু করে, অল্প দুষ্টু এবং ভীষণ মিষ্টি "মিঠাই" (Mithai)। ঘড়ির কাঁটা আটটার ঘর পেরোতে না পেরোতেই, শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠতেন 'মোদক' পরিবারের সদস্য। কিন্তু এই কিছু বছরেই ধারাবাহিকের মধ্যে ঘটে গেছে একাধিক পরিবর্তন। দেখানো হয়েছে স্বয়ং মিঠাইয়ের মৃত্যু, এবং তার পরেই মিঠাইয়ের আদলেই 'মিঠি' নামের এক যুবতীর আগমন। সম্প্রতি "মিঠাই" খ্যাত অভিনেত্রী (Tollywood Actress) সৌমিতৃষা কুন্ডুকে (Soumitrisha Kundu) দেখা গেল কৃষ্ণ-বেশে। গোপাল ভক্ত মিঠাইয়ের এমন রূপ দেখে অনুগামীরাও আহ্লাদিত। এর আগেও এই ধারাবাহিকে বিপক্ষকে জব্দ করতে "মিঠাই রানী" অবলম্বন করেছেন নানাবিধ ছদ্মবেশ। তাই সৌমিতৃষার এই বেশ ধারণ, মিঠাই বেশে নাকি মিঠি বেশে, সেই নিয়ে অনুগামীদের মধ্যেও কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।
এই মুহূর্তে এই ধারাবাহিকের গল্পে ফিরে এসেছে মিঠাই। মোদক পরিবারে আগের মত খুশি ফিরলেও, মিঠাইয়ের স্মৃতিভ্রংশ হয়েছে। অপরদিকে মিঠাইকে স্মৃতি ফেরানোর প্রচেষ্টার মধ্যেই রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যান মিঠি এবং মিঠাইয়ের স্বামী 'উচ্ছে বাবু' তথা সিদ্ধার্থ মোদক। এই রহস্য উদঘাটনের জন্যই মিঠাই তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অগ্রসর হন কুসুমবন নামক এক স্থানে এবং সম্মুখীন হোক এক অলৌকিক আবহের। এই অঞ্চলের জাগ্রত জনার্দনের মূর্তি রোজ রাতে জেগে ওঠে। তাই এই স্থানে সাধারণ মানুষের আসা নিষেধ। এই রহস্যের কিনারা করতে গিয়েই জানা যায়, স্বয়ং মিঠি এই অঞ্চলের কোনও স্বার্থান্বেষী মানুষের দ্বিচারিতার শিকার হয়েছে। 'হিমনোটাইজ' করিয়ে তাঁকেই জনার্দন হিসেবে ব্যবহার করেছেন সেখানকার মানুষ। এই খবর পেশার খাতিরে পুলিশ হওয়ার দরুন সিদ্ধার্থ জানতে পারেন। কিন্তু মিঠিকে উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি নিজেই বেপাত্তা হয়ে যান।
সামাজিক মাধ্যমে (Social Media) জনার্দন-রুপী মিঠির সাজ প্রকাশ্যে আসতেই "মিঠাই" ভক্তদের উন্মাদনার শেষ নেই। সৌমিতৃষা নিজেও বৈষ্ণব সাধিকা। এমনকী তাঁর সাম্প্রতিক জন্মদিন তিনি বৃন্দাবনের পবিত্র মাটিতেই পালন করেন। এই বেশ ধারণ করে তাই তিনিও যারপরনাই উচ্ছ্বসিত। কিন্তু এরই মাঝে বিষাদের মেঘ ঘনিয়েছে। শোনা যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়িই শেষ হতে চলেছে জনপ্রিয় এই ধারাবাহিক (Bengali Serial)। যদিও কলাকুশলীরার পরিষ্কার করে কিছু জানাননি। তবে "মিঠাই" ধারাবাহিক শেষ হলেও কিন্তু, "মিঠাই রানী" এবং তাঁর মনোহরা পরিবার চিরকাল থেকে যাবে মানুষের মনে।