বিনোদন জগতে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhisek Chatterjee)। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৮ বছর।
বুধবার রাতে একটি চ্যানেলের শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। নিজের আনোয়ার শাহ রোডের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তড়িঘড়ি চিকিৎসক আসেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। বুধবার রাত ১ টা নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের চলচ্চিত্র জীবনের যাত্রা শুরু পরিচালক তরুণ মজুমদারের হাত ধরে। বলা ভালো তিনিই তাঁকে আবিষ্কার করেছিলেন। ১৯৮৬ সালে তরুণ মজুমদারের 'পথভোলা' ছবি দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় নিজের ফিল্ম কেরিয়ারে খ্যাতমান পরিচালকদের সঙ্গে যেমন কাজ করেছেন, তেমনি বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তাবড় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে তিনি স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। কাজ করেছেন উৎপল দত্ত, মিঠুন চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতো মানুষদের সঙ্গে।
নব্বইয়ের দশকে বাংলা সিনেমায় প্রসেনজিৎ এবং অভিষেকের জুটি বাজিমাত করেছিল। বাংলা সিনেমা মানেই প্রসেনজিৎ-অভিষেকের জুটি। সঙ্গে অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জী কিংবা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর অনবদ্য অভিনয় দর্শকদের জমিয়ে রেখেছিল। দিয়েছেন মায়ার বাঁধন, জয়বাবা ভোলানাথ, মায়ের আঁচল, গীত সংগীত, সুজন সখীর মতোএকের পর এক হিট ছবি। আচমকাই চলে গেলেন এই অভিনেতা। টলিউডে শোকের ছায়া।
একটা সময় বাংলা সিনেমায় অনিয়মিত হয়ে যান তিনি। বেশ কয়েকবার আক্ষেপ শোনা গেছে তাঁর গলায়। অনেকেই অভিযোগ করেন, টলিউডের ঘৃণ্য রাজনীতির শিকার অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। তারপর বেশ কয়েক বছর ছোট পর্দায় চুটিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর 'ফাগুন বউ', ‘খড়কুটো’, ‘মোহর’ ধারাবাহিক অত্যন্ত জনপ্রিয়। এমন প্রাণবন্ত মানুষটির অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা শিল্পমহল। রেখে গেলেন স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায় এবং একমাত্র কন্যাকে।