আরও একটি সুখবর। একুশ বছরের খরা কাটিয়ে যার হাত ধরে ভারোত্তোলনে পদক এল ভারতের ঘরে, সেই মীরাবাঈ চানুর সংগ্রামী জীবন তুলে ধরা হবে বড়পর্দায়। টোকিও অলিম্পিক ২০২১শে রূপোর পদক জিতেছেন মণিপুরের নংপক কাকচিং গ্রাম থেকে উঠে আসা মেয়েটি। তারপর থেকেই দেশজুড়ে প্রশংসার ঢেউ। অনেক ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে মণিপুরের ওই ছোট্ট গ্রাম থেকে উঠে এসে কীভাবে আজ বিশ্বের দরবারে দেশকে উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত করলেন, সেই গল্পই পরিবেশিত হবে এই ছবির মাধ্যমে।
ইতিমধ্যেই পুরস্কারস্বরূপ মণিপুরের সরকার কর্তৃক ১কোটি টাকা পেয়েছেন মীরাবাঈ। তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে মণিপুর পুলিশের এএসপি পদে। জীবনের জন্য তাঁকে বিনামূল্যে পিৎজা সরবরাহ করার দায়িত্ব নিয়েছে ডমিনোজ। টেলিভিশন, রেডিও ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়েই আলোচনা এখন দেশব্যাপী আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। আর এরই মাঝে ইম্ফলের সেউতি ফিল্মস প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তাও সারা হয়েছে মীরাবাঈয়ের। ছবির চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরও করেছেন এই রূপোজয়ী অলিম্পিয়ান। সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে ছবিটি নির্মিত হবে মণিপুরী ও ইংরেজি ভাষায়। পরবর্তীতে আরও কয়েকটি ভারতীয় ভাষায় তৈরি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে তাঁর ভূমিকায় কে অভিনয় করবেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বয়স, উচ্চতা, শরীরের গঠন- সবদিক থেকেই চানুর সঙ্গে মানানসই হবে, এমনই কাউকে প্রয়োজন। যদিও অভিনেত্রীকে যথেষ্ট ট্রেনিং দেওয়া হবে, কারণ এই অভিনয় একেবারেই সহজ নয়। প্রযোজনা সংস্থা মানাওবি দাবি করেছে, শুটিং শুরু হতে এখনো মাস ছয়েক দেরি হবে। তার আগে স্ক্রিপ্ট,প্লট, চরিত্র, বাজেট সমস্তটাই পরিকল্পনা করা হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে অলিম্পিক পদকজয়ী মণিপুরের মেরি কমের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যা বক্স অফিসেও সাফল্যের দাবিদার। ধোনি থেকে শচীন, মিলখা থেকে সাইনা - বায়োপিকে বাজিমাত করেছে প্রতিটিই। এখন নজরে থাকবে মীরাবাঈয়ের জীবনী।