আর একদিন বাদেই প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ শুরু। হিংসাত্মক কার্যকলাপ ক্রমেই বাড়ছে জেলায় জেলায়। ইতিমধ্যেই ভাঙড় থেকে দফায় দফায় উদ্ধার হয়েছে বিষ্ফোরক ও বস্তাবন্দি তাজা বোমা। দুদিন আগেই বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে বছর সাত ও আটের দুই একরত্তি। ফের একবার বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে প্রাণ হারাল পান্ডবেশ্বরের এক যুবক। পান্ডবেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি স্পষ্ট জানান তাকে খুন করার জন্যই ওই বোমা তৈরি হচ্ছিল। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
ঠিক কি হয়েছিল? অন্ডাল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পান্ডবেশ্বরের জামবাদ এলাকার শরবন সাউ নামে বছর আটত্রিশের ওই বাসিন্দা গতকাল গভীর রাতে বোমা বানাতে গিয়ে তা বিষ্ফোরণ ঘটে মারা যান। একইসঙ্গে গুরুতর জখম হয়েছেন বোমা বাঁধাইয়ের কাজে লিপ্ত আরও তিনজন। রানীগঞ্জের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রত্যেককে। আহতরা হাসপাতাল থেকেই চম্পট দেয়, যার ফলে কাউকেই চিহ্নিত করা যায়নি। যে বাড়িতে বিষ্ফোরণ ঘটে, সেটি বাড়িটিও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষ্ফোরণে আহত ও নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই স্থানীয়দের অনুমান।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পান্ডবেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন,"আমাকে মারার চক্রান্ত চলছে। বহুলা পঞ্চায়েতের প্রধান ও নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ বীর বাহাদুর সিং এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। আমরা পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাচ্ছি।" পাল্টা ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দাবি করেন, এর সাথে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই। সেখানকার মানুষ ভালোভাবেই জানেন দুষ্কৃতী-মাফিয়ারা কাদের সাথে থাকে। একইসাথে সাবধান থাকতে বলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। বহুলা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান বীরবাহাদুর সিং-এর মতে এটা স্রেফ আদি ও নব্য বিজেপির সংঘাত। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আটকাতে না পেরে এখন তৃণমূলের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন উনি।