ঘটনা সৈকতনগরী দিঘার পায়া গ্রামের। অভিযোগ, গৃহবধূর স্নানের সময় কৌশলে নগ্ন ভিডিয়ো করেছিল প্রতিবেশী যুবক। আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন চলল ধর্ষণ। শুধু যৌন অত্যাচারই নয়, নগদ টাকা এমনকি সোনার গয়নাও হাতিয়ে নেয় অভিযুক্ত যুবক। সূত্রের খবর, দিঘা পায়া গ্রামের যুবক বিশ্বজিৎ মণ্ডল নানান কাজের জন্য ওই গৃহবধূর স্বামীর কাছে প্রায়শই যেতেন। বলাবাহুল্য, ভালোই যাতায়াত ছিল ওই বাড়িতে। তেমনই একদিন ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে গোপনে ওই গৃহবধূর স্নানের নগ্ন দৃশ্যের ভিডিও করেন ধৃত বিশ্বজিৎ মণ্ডল।
আর তা দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে ওই গৃহবধূকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে যুবক। লোকলজ্জার ভয়ে আড়াই বছর ধর্ষণের কথা কাউকে বলতে পারেনি ওই গৃহবধূ। শেষে দিন কয়েক আগে নিজের স্বামীকে সব কথা খুলে বলেন ওই গৃহবধূ। সঙ্গে থানার দারস্থ হন তিনি। ওই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার জামিন খারিজ করে দিয়েছেন। বর্তমানে জেল হেফাজতে অভিযুক্ত। একই সঙ্গে নির্যাতিতা গৃহবধূর গোপন জবানবন্দি নিয়েছে কাঁথি আদালতের বিচারক।