ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Yaas) এখন প্রায় দোড়গোড়ায়। বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার বুলেটিন অনুসারে ওড়িশার ধামরা থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। অন্যদিকে পারাদ্বীপ থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার পূর্ব এবং উত্তর পূর্ব দিকে রয়েছে ইয়াস। দিঘা থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। যদিও গতকাল রাত থেকে দিঘা ও ওড়িশা উপকূল অঞ্চলে ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত এবং ঝোড়ো হাওয়া বইছে। দিঘা অঞ্চলে প্রশাসনের তরফে লাল সতর্কতা জারি হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ল্যান্ডফল ওড়িশার ধামরা অঞ্চল। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ্চ ১৫৫ কিলোমিটার। গতকাল রাত থেকে দিঘা অঞ্চলে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া চলছে। সমুদ্রে ৩০ ফুটের উপর জলোচ্ছ্বাস। গার্ডওয়াল টপকে জল রাস্তা পর্যন্ত চলে আসছে। জলমগ্ন দিঘা অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। অন্যদিকে তাজপুর, মন্দারমণি অঞ্চলেও সমুদ্রের জলস্তর বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এলাকায় লাল সতর্কতা জারি হয়েছে।
ইয়াসের প্রভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগণার উপকূলবর্তী অঞ্চল গুলিতেও প্রবল বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া চলছে। ফ্রেজারগঞ্জে এই সময়ে ৬৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়া বইছে। ওড়িশার ধামরা অঞ্চল ল্যান্ডফল হওয়ায় পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যত সময় গড়াচ্ছে তত ভয়াবহ হয়ে উঠছে ইয়াস।