পণের দাবিতে এক গৃহবধূকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। পণের দাবিতে মৃতা গৃহবধূর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু পরিণতিতে যে এভাবে মরতে হবে কে তা জানত!
ঘটনাটি নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানা এলাকার। সূত্রের খবর, এই এলাকার নবাব মণ্ডলের সঙ্গে মহসিনা মণ্ডলের বছর কয়েক আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে পণের দাবিতে অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ। গতকাল পরিস্থিতি চরমে পৌঁছায়। মহসিনা মণ্ডলের বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, গতকাল তাঁদের বাড়ির মেয়ে ফোন করে জানিয়েছিল সেই অত্যাচারের কথা। আমাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে।
কী ঘটেছিল এদিন? সূত্রের দাবি, মহসিনার স্বামী ইলেকট্রিক শক দেওয়ার তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন। তারপর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মহসিনার পরিবারের দাবি, গ্রামের লোকজন তাঁদের ফোন করে জানায় তাঁদের বাড়ির মেয়ে নাকি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে দেখি মেয়ে আর বেঁচে নেই। মেয়েকে খুনের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত।