পুরভোটে (Municipality Election) তিনি বিজেপির (BJP) টিকিটে জিতেছেন, কিন্তু পুরনিগম গেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। বিজেপির টিকিটে জিতলেও তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনে পুরসভার চেয়ারম্যান পদের অনেকটাই দৌড়ে এগিয়ে অভিনেতা তথা বিজেপির বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান পদের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে তিনি। যার ফলে রাজ্য-রাজনীতির নতুন সমীকরণের সম্ভাবনা দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
পুরভোটে একচ্ছত্র ক্ষমতা দখল করেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। ১০৮ টি পুরসভার মধ্যে ১০২ টি পুরসভা তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। তারমধ্যে খড়্গপুর পুরসভাটিও শাসকদল জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। তবে অনেক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর খড়্গপুর পুরসভায় ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জিতলেও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলেই গেছে পুরসভাটি। এরপরেই শুরু হয় নতুন জল্পনা। এই পুরসভার চেয়ারম্যান পদ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন সমীকরণ। সূত্রের খবর, সব ঠিকঠাক থাকলে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান পদের জন্য অনেকটাই এগিয়ে অভিনেতা হিরণ।
উল্লেখ্য, খড়্গপুরে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের মতান্তর নতুন ঘটনা নয়। খড়্গপুরে কান পাতলেই শোনা যায় উভয়ের মধ্যে তৈরি হওয়া বিতর্কের নানা ঘটনা। যা নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে রাজ্য বিজেপির অন্দরমহল। এর মধ্যেই যদি তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে হিরণ চট্টোপাধ্যায় চেয়ারম্যান হন, তাহলে রাজ্য-রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হবে। এদিকে অভিনেতা হিরণও যথেষ্ট সাবধানী। শুক্রবার তিনি দলের চিন্তন বৈঠকে যোগ দেননি। এরফলে এই জল্পনা নতুন করে উসকে দিয়েছে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।