শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে একেই জনকৌতুহল চরমে, এরই মাঝে রাজীব বন্দোপাধ্যায় ও জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তৃণমূলে। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কনিষ্ঠ পন্ডাকেও বহিস্কার করেছে দল। এদিন ব্যারাকপুর বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার ও পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মন্ডলকে নিয়ে তৈরি হল নতুন জল্পনার জট।
শুভেন্দুর সাথে শীলভদ্র যোগসাজশ রাখেন এবং তাঁর মন্ত্রিত্ব ত্যাগের পর ফেসবুক ওয়ালে গেরুয়া কভারে "বন্ধু দেখা হবে" লেখা ও শুভেন্দুর সাথে শীলভদ্রের পোস্টার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করেছেন রাজনৈতিক মহল। এরই মধ্যে শুভেন্দুর সাথে সুনীলের পোস্টার পড়ে বর্ধমানে। সুনীল বলেন শুভেন্দুর সাথে তাঁর সম্পর্ক ভালো এবং মাতৃবিয়োগের পর শুভেন্দু ফল মিষ্টি পাঠান। আক্ষেপের সুরে প্রকাশ করেন দল তাকে সন্মান দিলেও ঠিকমতো কাজ করতে দেয়নি, তাই ঘোলা জলে থাকার চেয়ে রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা তাঁর। পোস্টার সম্পর্কে সুনীল কিছু না বললেও এটা যে "মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ" তা নিজে মুখে ব্যক্ত করেন। দলের অন্দরে পিকের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিঁনি। অন্যদিকে ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার এদিন তৃণমূলের দিকেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন দলে কাজ করার সুযোগ পাননি তিঁনি এবং কেন এমন হচ্ছে তাও তিঁনি জানেননা। রাজনীতিতে মর্যাদা সহযোগে ডায়মন্ড হারবারের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পাশে থাকতে চান তিঁনি। 'পদ নয় পতাকা, তৈরি আছে জনতা’ স্লোগান ও 'আমরা দাদার অনুগামী' লেখাসমেত দীপক হালদারের বহু পোস্টারও পড়েছে চত্বরে।