পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার কারণে নিজের স্বামী এবং তার দুই সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করলেন এক মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জের গৌরী পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করতেন মঙ্গু শেখ। তবে কাজের সূত্রে তিনি পাঞ্জাবে বসবাস করতেন। পাঞ্জাবে একটি ঠিকাদারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন মঙ্গু। গত বছর স্ত্রী মর্জিনা এবং তার ছেলে আলী শেখ কে নিয়ে পাঞ্জাবে চলে গিয়েছিলেন তিনি। তারপরে তার ছোট ছেলে সোহেল এবং তার মেয়ে আদুরীকে পাঞ্জাবে নিয়ে যান তিনি। কিন্তু পাঞ্জাবে থাকাকালীন সেখানকার স্থানীয় এক যুবক অরিজিৎ সিংয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত হন স্ত্রী মর্জিনা। দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে।
এই পরকীয়ার কথা তার কানে যেতেই তিনি আপত্তি জানান। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে তীব্র বচসা এবং কথা কাটাকাটি হয়। তাদের দুজনের এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি তিনি। মর্জিনা এবং অরিজিৎ এর অবাধ মেলামেশায় বাধা সৃষ্টি করতে চেয়ে ছিলেন তিনি। তাই তাদের পথের কাঁটা সরাতে মর্জিনা এবং অরিজিৎ একসাথে মঙ্গুকে খুন করার পরিকল্পনা করেন। গত মঙ্গলবার রাতে পরিকল্পনা মাফিক স্বামী মঙ্গু এবং তার দুই সন্তানকে খুন করেন মর্জিনা। তার প্রেমিক অরিজিৎ তার সঙ্গে ছিলেন। পুরো ঘটনা লুকিয়ে দেখে ফেলে তার মেয়ে আদুরি।
মর্জিনা এবং অরিজিৎ মেয়ে আদুরিকে দেখতে পায়নি। ওই ছোট্ট মেয়েটির বয়ান রেকর্ড করে বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব পুলিশ ওই মহিলা এবং তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে বলে খবর। মঙ্গু এবং তা দুই সন্তানের খুনের খবর এসে পৌঁছায় রায়গঞ্জের বাড়িতে। গ্রামবাসীরা টাকা পয়সা জোগাড় করে তিনটি দেহ পাঞ্জাব থেকে রায়গঞ্জ নিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন। রায়গঞ্জের বাড়িতে এই তিনটি দেহ এসে পৌঁছালেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বাড়ির লোকেরা। পরিবার পরিজন এবং গ্রামের সকলের দাবি যেন অভিযুক্তকে কড়া শাস্তি দেওয়া হয়।