নেতাজি জন্মজয়ন্তী নিয়ে বিতর্কের আর অবসান হচ্ছে না। ভিক্টোরিয়াতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপমানিত হওয়া নিয়ে সরগরম হয়ে আছে গোটা রাজনৈতিক মহল। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ এবং সমালোচনার ঝড়ে বিতর্কের মাত্রা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। সেই সাথে বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি। আসলে দুদিন আগে কেন্দ্র দ্বারা আয়োজিত ভিক্টোরিয়ায় নেতাজী জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা দিতে মঞ্চে ওঠার সময় "জয় শ্রীরাম" ধ্বনি ওঠে। এই ব্যাপারে অপমানিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী কোন বক্তৃতা ছাড়াই মঞ্চ ছাড়েন। এখন প্রশ্ন উঠছে যে প্রধানমন্ত্রী তখন ঘটনার কোন প্রতিবাদ করলেন না কেন? এছাড়াও ঘটনার দু'দিন কেটে যাওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রীর নিরাবতা সমালোচনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বর্তমানে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন তুলেছেন যে একজন মুখ্যমন্ত্রীর অপমান প্রধানমন্ত্রী দাঁড়িয়ে থেকে কি করে হতে দিলেন? এছাড়াও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। এছাড়াও রাজ্য বিজেপির অনেক নেতা মনে করেন নেতাজি জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে কখনোই জয় শ্রীরাম ধ্বনি তোলা উচিত হয়নি। তবে তারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের মতিগতি দেখে মুখে কুলুপ এঁটেছে। কারণ কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও অমিত মালবের মত কেন্দ্রীয় নেতারা উল্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য দোষারোপ করেছেন। এর ফলে বিজেপির অন্দরমহলে ঘটনা প্রসঙ্গে তীব্র অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, "ঘটনার পরে বিজেপির কিছু বাংলার নেতারা ঘটনার প্রতিবাদ জানালেও কেন্দ্রীয় দলের চাপ পরতেই তারা মিনমিন করে নিজেদের ঘরে ঢুকে গেছে। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে বাংলা গেরুয়া শিবির শুধুমাত্র কেন্দ্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটা কাঠপুতুল।" এছাড়াও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, "একজন সংসদীয় পদমর্যাদা মহিলাকে প্রধানমন্ত্রীর চোখের সামনে অপমান করা হলো। এদিকে তিনি নীরব থেকে গেলেন। কেন? বাংলার মানুষ এই অপমানের বদলা নেবে।"