আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে 'চোখের আলো' (Chokher Alo) প্রকল্পকে রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পণ করেছে শাসকদল। সেইমতো লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল, রাজ্যের প্রতিটি চোখের সার্জনকে মাসে ৬০ টি করে ছানি অপারেশন করতে হবে। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিক শেষে দেখা গেল, ১৪ টি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলায় ৫০ শতাংশ টার্গেটই পূরণ করতে পারেনি। যা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ নবান্ন (Nabanna)। বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়া সত্বেও কেন মানুষ অপারেশন করাতে আসছে না তার জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্তও নিয়েছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, টার্গেট পূরণে একেবারেই অসফল হয়েছে মালদা এবং পুরুলিয়া যারা যথাক্রমে ৩% ও ৪% টার্গেট পূর্ণ করেছে। আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং, উত্তর দিনাজপুরে ২০% টার্গেট পূরণ হয়নি। অন্যদিকে নদিয়া, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা টার্গেটের কাছাকাছি যেতে পেরেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলা ১৮৭ শতাংশ টার্গেট পূরণ করেছে যাকে নজিরবিহীনও বলছে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ, প্রতিটি হাসপাতালের আউটডোরে একটি করে চক্ষুপরীক্ষার শেল্টার রাখতে হবে। প্রতিদিন দুটি শিফটে অপারেশন করতে হবে। কোনো অপারেশন সাতদিনের বেশী ফেলে রাখা যাবে না অর্থাৎ চোখ পরীক্ষা করে যদি দেখা যায় অপারেশন প্রয়োজন তবে সাতদিনের ভেতর অপারেশন করাতে হবে। চোখের সার্জনদের সপ্তাহে দুদিন আউটডোরে বসতে হবে এবং তিনটি অপারেশন করতে হবে। যেসব সার্জেনদের খারাপ পারফরম্যান্স তাদের রিপোর্ট পাঠাতে হবে স্বাস্থ্য দফতরকে।