আগামী ২৩ এপ্রিলেই অবসর নেবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে। তারপর কার উপর থাকবে সিজেআই-এর দায়ভার? আর তাই কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকে চিঠিতে লিখে বিচারপতি রমনাকে তাঁর উত্তরসূরি হিসাবে সুপারিশ করলেন বোবদে। প্রধান বিচারপতির পর বিচারপতি রমনাই এখন সুপ্রিম কোর্টের সবথেকে বরিষ্ঠ বিচারক, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, আইন ও বিচার মন্ত্রকের চিঠিতে এমনটাই উল্লেখ করে জানিয়েছেন, ভারতের ৪৮তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিচারপতি এন ভি রমানাকে বহাল রাখতে। এই বোবডের এই সুপারিশের পরেই আইন ও বিচার মন্ত্রকের তরফে প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হবেন বিচারপতি এন ভি রমানা। সংবিধানের ১২৪ অনুচ্ছেদের (২) দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি, বিচারপতি এন ভি রমানাকে নিয়ে বেজায় সন্তুষ্ট।
প্রধান বিচারপতি নিয়োগের কাজটি মূলত রাষ্ট্রপতিই করে থাকেন। তবে স্মারকলিপি অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতির পদে থাকার উপযুক্ত বলে বিবেচিত সুপ্রিম কোর্টের সবথেকে সিনিয়র বিচারকেরই ভারতের প্রধান বিচারপতি করতে হবে। এই নির্দেশিকার পাশাপাশিই সুপ্রিম কোর্ট এবং কেন্দ্রীয় সরকার উভয়ই সিজেআই নিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্ত নিয়মে মান্যতা দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে। বিচারপতি এন ভি রমনা, অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলার পোনাভরাম গ্রামে একটি কৃষক পরিবারে ২৭ আগস্ট ১৯৫৭ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সূত্রের খবর, তিনি ২০২২ সালের ২৬ আগস্ট অবদি ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত থাকবেন।
এই নির্দেশিকা দেওয়ার সময়েই সুপ্রিমকোর্ট একটি স্বল্প বিবৃতি জারি করে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগমনমোহন রেড্ডির দায়ের করা অভিযোগ খারিজ করে দেয়। যে মামলায় অভিযোগ ছিল, বিচারপতি রমনা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে অন্ধ্র হাইকোর্টের বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করছেন। প্রসঙ্গত, বিচারপতি রামনার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জগমনমোহন রেড্ডির বেশ কয়েকটি মামলা এবং সারাদেশের বিচার আদালতের মন্ত্রী, বিধায়ক ও রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে শত শত ফৌজদারি মামলার শুনানি ও দ্রুত নজরদারি শুরু করার পরেই এই অভিযোগ ওঠে।