মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন অভিজ্ঞদের পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন মুখ। বেশকিছু দপ্তরে মন্ত্রিত্বের পরিবর্তন হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষা দপ্তর হারিয়ে শিল্প দপ্তর পেয়েছেন। আজ নতুন দপ্তর পেয়ে তিনি পুরনো দপ্তরের গত কয়েক বছরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন তিনি বলেন, "যখন শিল্প থেকে শিক্ষার দায়িত্ব এসেছিল, সেটাও চ্যালেঞ্জ ছিল। আর এ তো আমার পরিচিত জায়গা। অমিত মিত্র অনেকটাই এগিয়ে দেখেছেন।"
সোমবার নতুন মন্ত্রিসভায় দেখা যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষা থেকে শিল্প দপ্তরে ফিরেছেন। তিনি তৃণমূল সরকারের শুরুর জমানায় এই দায়িত্বে ছিলেন। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সেই দপ্তর থেকে সরিয়ে অমিত মিত্রকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তাতেও গত কয়েক বছরে রাজ্যে শিল্পায়নের নতুন কোন বদল হয়নি। ফলে তিনি এই দায়িত্ব পেয়ে তিনি যে খুশি নন, তাঁর কণ্ঠস্বরে স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক একাংশ।
এদিন নতুন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "ব্রাত্য যখন শিক্ষামন্ত্রী ছিল তখন তো ৫০ টা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। ৫২ টা নতুন সরকারি স্কুল ছিল না। রাজ্যে নতুন ১০০-র বেশি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, ৭৫০ টি হিন্দি মাধ্যম স্কুল ছিল না। ব্রাত্য নিশ্চয়ই সেই ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমার যদি কোথাও ভুল থাকে, তাহলে সংশোধন করবে।
ব্রাত্য বসুর নতুন শিক্ষা মন্ত্রী হওয়ায় বাংলার বেকার সমাজ অবশ্য নতুন আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে। রাজ্যের এক বেকার চাকরিপ্রার্থী মৌসুমী পাত্র জানিয়েছেন, "ব্রাত্য বসু শিক্ষামন্ত্রী হওয়ায় নতুন করে আশার আলো দেখছি। আশা করছি আগামীতে শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন নিয়োগ হবে।" অবশ্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিল্পক্ষেত্রের দায়িত্ব পেয়ে বিশ্বের মন্দা শিল্প বিনিয়োগকে যেভাবে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করলেন, সেক্ষেত্রে রাজ্যের শিল্পায়ন কোন পথে এগোবে সে নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়ে গেল বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।