কথা ছিল তিনি শীতলকুচিতে যাবেন, তিনি কথা রেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় অবশেষে শীতলকুচিতে গিয়ে শহিদ পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেছেন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সঙ্গে বার্তা বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবারের লোকজন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের পাশে থাকার সবরকমের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, "আমি পাঁচটি পরিবারের সঙ্গে দেখা করলাম। আনন্দর দাদু ও মামা ছিল।"
উল্লেখ্য, চতুর্থ দফা নির্বাচনের শুরুতেই শীতলকুচিতে দুষ্কৃতীদের হাতে নিহত হয় ১৮ বছরের আনন্দ বর্মণ। আনন্দ বর্মণ বিজেপির সমর্থক ছিলেন বলে শাসক বিরোধীর চাপানউতোর শুরু হয়। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সিআরপিএফ জওয়ানদের হাতে নিহত হয় আরও ৪ জন। এই ঘটনার পর রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী এই নিহত পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের ৭২ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা থাকায় মুখ্যমন্ত্রী আসতে পারেননি। তিনি বলেন, "আমাকে ৭২ ঘণ্টা আসতে দেওয়া হয়নি। আপনারা জানেন আমাকে আসতে দেওয়া হয়নি।" এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "এর বিচার হোক। যারা এ কাজ করেছে তাদের শাস্তি হবেই। নির্বাচন মিটলে আমাদের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যা তদন্ত করার আমি করবই। "
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আনন্দ বর্মণের পরিবারের কেউ দেখা করবেন না বলে কথা ছিল। কিন্তু আনন্দ বর্মণের দাদু এবং মামা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, "আপনারা শান্ত থাকুন। কেউ কোন উত্তেজনায় পা দেবেন না, কোন প্ররোচনায় পা দেবেন না, যদি সত্যিই এঁদের আত্মার শান্তিকামনা করেন। দোষী ব্যক্তি সে যত বড়ই হোক না কেন তার শাস্তি হবেই। "