ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা ইউপিএসসির (UPSC) লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিরোধীদের স্পষ্ট অভিযোগ ছিল, সর্বভারতীয় পরীক্ষায় রাজনীতির রং চড়াতে চাইছে কেন্দ্র। কেন্দ্র সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই সর্বভারতীয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বিতর্কিত প্রশ্ন দিয়ে আসলে ইচ্ছাপূর্বক রাজনীতিকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীদের একাংশ। ইউপিএসসির লিখিত পরীক্ষায় ১০ নম্বরের একটি প্রশ্নে ২০০ শব্দের মধ্যে লিখতে বলা হয়েছিল 'পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী সন্ত্রাস'। যা নিয়ে তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়েছিল। এবার রাজ্যের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় (WBCS) প্রশ্নপত্র ঘিরে ফের তৈরি হয়েছে বিতর্ক। রবিবারের ডব্লিউবিসিএস প্রিলি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ঘিরে তৈরি হয়েছে সেই বিতর্ক।
কী সেই প্রশ্ন? প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় একটি প্রশ্ন ছিল, 'কোন বিপ্লবী নেতা জেল থেকে মার্সি পিটিশন করেন?' এখানে 'মার্সি পিটিশন'-এর বাংলা তর্জমা করলে হয় 'ক্ষমা প্রার্থনা'। এবার চারটি বিকল্প উত্তর হিসেবে বলা হয়েছে, 'ভি ডি সাভারকর', 'বি জি তিলক', 'শুকদেব থাপার', এবং 'চন্দ্রশেখর আজাদ'। এই প্রশ্নের মধ্যে একটি বিকল্প উত্তর হিসেবে রাখা হয়েছে বিনায়ক দামোদর সাভারকরের নাম। যিনি আবার ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে পরম পূজ্যপাদ ব্যক্তি। রাজ্য বিজেপির এক নেতৃত্বের কথায়, এই প্রশ্ন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের কোন পরীক্ষায় এমন প্রশ্নের যৌক্তিকতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
এবারের ডব্লিউবিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা বহু আগে হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। অনেক তারিখ পিছিয়ে পিছিয়ে অবশেষে গতকাল কোভিড বিধি-নিষেধ মেনেই এই পরীক্ষা নেওয়া হয়। তবে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে অনেক গুলি প্রশ্ন এসেছে। যা নিয়েও স্যোসাল মিডিয়াতে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকেই আবার কটাক্ষ করেছেন, "তাহলে বলুন দুয়ারে বিসিএস কেমন হল?" আবার অনেকেই বলছেন, "লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বাদ দিয়ে সব প্রকল্প থেকেই প্রশ্ন এসেছে"। ইউপিএসসির প্রশ্ন নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষায় এমন প্রশ্ন নিয়ে স্যোসাল মিডিয়ায় মিমের ছড়াছড়ি। পাশাপাশি শাসক ও বিরোধীদের একে অপরের মধ্যে আঙুল তোলার প্রবণতা তো আছেই।