রবিবার নতুন মোড় নিল রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। শহীদ দিবসে গান্ধী ধামে মহাত্মাকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং তৃণমূল সরকারকে উদ্দেশ্য করে একাধিক আক্রমণ শানালেন। সেই সাথে এদিন পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রচলিত ‘মা ক্যান্টিন’ (Ma canteen) নিয়েও সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)।
এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রজাতন্ত্র দিবসে মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যপালের সামনে নীরব থাকার বিষয়ে পরোক্ষ জবাব দেন ধনখড়। রাজ্যপাল বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছি, গনতন্ত্র কথোপকথনের উপর টিকে থাকে। হিংসার থেকে গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করার বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে”। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, “রাজ্যপালকে তথ্য দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর সাংবিধানিক কর্তব্য। যদিও আমি রাজ্যপাল হওয়ার পর থেকে তা কখনই ঘটেনি”।
কদিন আগেই রাজ্যপালকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘রাজ্যে আইনের শাসন নয়, শাসকের শাসন চলছে’। সে বিষয়ে একপ্রকার অনড় থেকেই এদিন তিনি বলেন, “গনতন্ত্র আইনের নিয়মে চলে, ব্যক্তিগত কারোর নিয়মে নয়। আমি আশা করি, তিনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) এবিষয়ে খেয়াল রাখবেন। রাজ্যপালের সাথে বসে কথা বলার জন্য তিনি সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ”।
রাজ্য সরকারের ‘মা ক্যান্টিন’ নিয়েও এদিন ফের সরব হতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। বলেন, রাজ্য সরকারকে ‘মা ক্যান্টিন’-এর সমস্ত তথ্য রাজ্যপালের কাছে সরবরাহ করতে হবে। ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে চালু হওয়ার কথা থাকলেও কিভাবে এটি সে বছরের ফেব্রুয়ারি থেকেই চালু হয়ে যায়, সে সম্পর্কিত তথ্যও পাঠাতে হবে রাজ্যপালের কাছে, এমনটাই দাবী করেন ধনখড়।
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের সামনে রাজ্য সরকার বিরোধী মন্তব্য করতে দেখা গেছে বাংলার রাজ্যপালকে। রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ছাড়েনি বাংলার শাসকদলও। সম্প্রতি নেতাজী জন্মবার্ষিকীর দিন একযোগে রাজ্য সরকার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Biman Banerjee) আক্রমণ শানানোর পর রাজ্যপালের নিন্দায় সরব হয় তৃণমূল থেকে বাম-কংগ্রেস। সেই আগুন নেভার আগেই আবার তাতে ঘি ঢাললেন জগদীপ ধনখড়।