দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার। ঠিক যে সময়ে গোটা দেশে আবারো লকডাউনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না প্রশাসন থেকে আমজনতা, সেই সময়েই বাংলায় উৎসবের মেজাজ নিয়ে চলছে গণতন্ত্রের উদযাপন। অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি এরাজ্যেও আবার করোনার গ্রাফ উর্দ্ধমুখী। আর সংক্রমণ ঠেকাতে তাই গতবছরের মতো আবারও তৎপর হল রাজ্য সরকার।
উল্লেখযোগ্য নির্দেশগুলির মধ্যে প্রথমেই বলা হয়েছে সরকারি সমস্ত অফিসে উপস্থিতি বা হাজিরা দেবার হার কমিয়ে ৫০ শতাংশ করতে হবে। হাইকোর্টের ক্ষেত্রেও জানানো হয়েছে আইনজীবীর জ্বর-সর্দি-কাশি এসব উপসর্গ থাকলে আদালতে প্রবেশাধিকার নেই। সইসাবুদের কাজ থাকলে মামলাকারীও বিচারপতির অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারবেননা। এই নিয়ম বলবৎ থাকবে চলতি মাসের শেষ দিন পর্যন্ত।
এছাড়াও আরও কিছু নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যেসমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলিতে কড়া হবে প্রশাসন। আরটি-পিসিআর কোভিড পরীক্ষার পরিমাণ দৈনিক ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ১৪০০ করা হবে। সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তির ও ছুটির সময়, চিকিৎসা ও শারীরিক অবস্থার আপডেট সরকারের কাছে থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স শুধুমাত্র রোগী পরিবহনের জন্য ব্যবহার হবে, সরঞ্জাম পরিবহনের জন্য নয়। হাসপাতালের বেডের সংখ্যা বাড়ানো হবে আগের চেয়ে অনেক বেশি। জেলায় জেলায় সেফ হোম গড়ে তোলা হচ্ছে।