মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী (Swastha Sathi Card)। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তসহ সমাজের সকল স্তরের অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় এসে বছরে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে সক্ষম। এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত সকল সরকারি হাসপাতাল এবং অধিকাংশ বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে ইতিমধ্যেই পরিষেবা পেয়ে উপকৃত হয়েছেন বহু রাজ্যবাসী। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সেই কথা মাথায় রেখে এবার স্বাস্থ্যসাথী হয়রানি রুখতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার (State Government)। বহু মানুষের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে চলেছে হাসপাতাল এবং বেসরকারি নার্সিংহোমগুলির জন্য। এক্ষেত্রে পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে প্রাক্তন আইএএস অফিসারকে (IAS officer)।
অভিযোগ উঠছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে সামনে রেখে সরকারি হাসপাতালের বিভিন্ন ডাক্তাররা নিজেদের আখের গোছাচ্ছেন। বেসরকারি হাসপাতালে কোনো কারণ ছাড়াই রোগীদেরকে রেফার করা হচ্ছে আর এর জেরে নাকানি-চোবানি অবস্থা রোগী এবং রোগীর পরিজনদের। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা না দেওয়ার জন্য করা অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের খাঁড়া ঝুলছে।
এমতাবস্থায় বলা হয়েছিল সাদা সাদা পোশাকের পুলিশেরা সারপ্রাইজ ভিজিট যখন তখন করতে পারে হাসপাতালগুলিতে। তবে এত কিছু করেও আটকানো যাচ্ছে না হয়রানি। আর তাই স্বাস্থ্যভবনের জন্য পরামর্শদাতা নিয়োগ হল। নবান্ন সূত্রে খবর, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার সুতীর্থ ভট্টাচার্যকে বসানো হচ্ছে ওই পদে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা না দিলে সেই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও যখন কাজে আসল না তখন দেখার পরামর্শদাতা কতটা সফল হতে পারেন।