তৃণমূল থেকে বেরিয়ে এসে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মানেই যে তিনি বিজেপির হয়ে টিকিট পেয়ে গেলেন এরকমটা কিন্তু নয়। দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের আগে এ কথা একেবারে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ। প্রশ্ন উঠছে বারবার, এইযে নেতারা তৃণমূলে ভোটের মুখে বিজেপিতে পাড়ি দিলেন তাদের কি হবে? দিলীপ ঘোষের এদিন পরিষ্কার বলে দিলেন," যারা জিততে পারবেন এবং পার্টির কাজ করবেন তাদেরকে টিকিট দেওয়া হবে। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করবে দিল্লি। বিজেপির নিজের ওয়েট রয়েছে। তাই কে কোন পার্টির হেভিওয়েট, তা দেখার প্রয়োজন নেই।" আর এই মন্তব্যের পর আরো জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে নতুন বিজেপি নেতাদের মধ্যে।

ভোটের গন্ধ পাওয়া মাত্রই বহু তৃণমূল নেতা একে একে বিজেপি পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহের বাসভবনে বৈঠক হওয়ার কথা। তাতে বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ সকলেই থাকতে চলেছেন। তার আগে দীলিপবাবু পরিষ্কার করে দিয়েছেন এই বৈঠক যে কোন সুরে বাধা হতে চলেছে। এছাড়া অমিত শাহ সম্ভাব্য যোগদানকারীদের একটি তালিকা তলব করেছিলেন। এখান থেকে কে বাদ যাবে অথবা কাকে বলে নেওয়া হবে তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তবে ভোটের মুখে এরকম একটি মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।