পঞ্চম দফায় ভোটগ্রহণের শুরুতেই অশান্তির আগুন জ্বলে উঠলো কল্যাণীতে। সকাল সকাল ভোট দিন, এমনটা নির্বাচনী প্রচারে নেতানেত্রীরা হামেশাই বলে থাকেন এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিজের ভোট নিজে দিতে পারার আশায় অনেকেই খুব সকালেই ভোটপর্ব মিটিয়ে ফেলেন। এবার সেই সকালেও রক্ষে নেই। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোটারদের ঢুকতে বাধা দেওয়া ও মারধর করা হলে ভোটাররাও রাস্তায় বসে বিক্ষোভ শুরু করেন। কল্যানীর সুকান্তনগরের এই ঘটনা আবারও পূর্ববর্তী দফাগুলির হিংসার ঘটনাকেই মনে করিয়ে দিচ্ছে।
ঠিক কি হয়েছে? জানা যাচ্ছে, আজ সকালে সুকান্তনগরের একটি বুথে ভোট দিতে গেলে তাদের বুথের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয় তৃণমূলকর্মীরা। তবে ভোটাররা জানিয়েছেন তারা সক্রিয়ভাবে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত নন, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান হয়নি। এমনকি কয়েকজন ভোটারকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এলাকার কয়েকজন বিজেপি সমর্থকের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ভোটাররা।
অন্যদিকে, রানাঘাটের গায়েশপুর ২০২ নম্বর বুথে বকুলতলায় ক্যাম্প অফিস করবেন বলে বিজেপি কর্মীদের জমায়েত হয়। তাদের চায়ের আসরের মাঝেই আচমকা মোটরবাইক করে এসে একদল দুষ্কৃতী চড়াও হয়। লাঠি, রড, টিউবলাইট দিয়ে ব্যপক মারধর করে ওই বিজেপি কর্মীদের। বাদ পড়েনি স্থানীয় বুথ সভাপতিও। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারীদের হাতে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন এবং পালিয়ে বাঁচেন অনেকেই। পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।