প্রতীচী বিতর্কে নয়া মোড়, এবার বিশ্বভারতীর জমি বির্তকিত ইস্যুতে ক্ষোভপ্রকাশ করে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva-Bharati University) উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই অমর্ত্য সেনের আইনি চিঠির জবাব দিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য, গত শনিবার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের জমি মাপজোকের জন্য রাজ্য সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছিল বিশ্বভারতী। চিঠিতে তারই তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি। বিশ্বভারতীর জায়গা দখল করে রাখার দাবি খারিজ করেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ চিঠিতে উল্লেখ করেন, “১৯৪০ সালে পিতা আশুতোষ সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতীর ৯৯ বছরের লিজ দলিল তৈরি হয়। দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও বিশ্বভারতী গত সাত দশক ধরে লিজ বহির্ভূত অতিরিক্ত জমি ফেরত নেওয়ার জন্য আশুতোষ সেনকে কোনও নোটিস দেয়নি। ২০০৬ সালে জমি মিউটেশনের জন্য বিশ্বভারতীর কাছে আবেদন করলেও কোনও অতিরিক্ত জমির কথাও বলেনি। ৮০ বছরের পুরোনো নথির অপব্যবহার করা হয়েছে।”
আর এই চিঠির উত্তরে উপাচার্য লিখেছেন, "বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের পথ খুঁজতে গিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সময় ব্যয় করেছি। রাজ্য সরকারকে জমি মেপে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। বিশ্বভারতীর জমি পুনরুদ্ধারই একমাত্র লক্ষ্য। নিশ্চয়ই অমর্ত্য সেনের সমর্থনও পাব আমরা।"
প্রসঙ্গত, অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ির ‘প্রতীচী’ নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অভিযোগ তুলে দাবী করে, ওই বাড়ির খানিকটা অংশ নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি। আর অমর্ত্য সেনের পরিবার বেআইনিভাবে তা দখল করে বাড়ি বানিয়েছে। অন্যদিকে, এই নিয়ে জোড়কদমে চলছে রাজনৈতিক তরজা। যদিও, অর্মত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।