গত কয়েকদিন ধরেই প্রকাশ্যে আসছে গেরুয়া শিবিরের (BJP) গোষ্ঠীকোন্দল। তার মধ্যেই এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের (No confidence motion) নোটিশ জারি হল। অভিযোগ, সাংবাদিক বৈঠকে বিধানসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তাই তাঁকে নোটিশ পাঠালেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। তবে বিধানসভায় সেই নোটিশ দেওয়া হলেও এই নিয়ে এখনও মন্তব্য করেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এরপরেই স্বভাবতই প্রথম বিধানসভা অধিবেশনেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। তবে আজ ঠিক কী ঘটেছিল? খবর, রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনা চলাকালীন শুভেন্দু অধিকারীর কিছু মন্তব্য 'অপ্রাসঙ্গিক' হিসেবে গণ্য করে অধিবেশনের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হয়। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদের আওয়াজ তোলেন শুভেন্দু। প্রতিবাদের সুর হিসেবে তিনি ওয়াকআউট করেন। এতে পাল্টা ক্ষুব্ধ হন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এরপর শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার বাইরে সাংবাদিক সম্মেলন করে স্পষ্ট বলেন, "স্পিকার শাসকদলের হয়ে কাজ করছেন।"
এই মন্তব্যের জন্যই বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ আনা হয়েছে। তা ইতিমধ্যেই প্রিভিলেজ কমিটির কাছেও পাঠানো হয়েছে। প্রথমবার বিরোধী দলনেতা হয়ে প্রথম অধিবেশনেই শুভেন্দু অধিকারীকে এই নোটিশ পেতে হল, যা নজিরবিহীন।
প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র বিরোধী দল নয়। বরং নিজের দলের কর্মীদের কাছেও বারংবার আক্রমণের শিকার হয়েছেন শুভেন্দু। গতকালই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "বিরোধী নেতাকে বলব। যাঁর নেতৃত্ব ও যাকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে বাংলার মানুষ ২১৩টি আসনে তাঁর প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন সেই মুখ্যমন্ত্রীকে অযথা আক্রমণ না করে সাধারণ মানুষের দুর্দশা মুক্তির জন্য পেট্রল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্যহ্রাস করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য করা উচিত।"
এমনকি সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan) বলেন, “বারবার দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল না বুঝিয়ে আয়নায় মুখ দেখুন।”