২০২১ এর বিধানসভা ভোটের আগে মালদহ তৃণমূল জেলা কমিটির সদস্য করা হল ইয়াসিনকে। খুন, বেআইনি ভাবে জমি দখল, অস্ত্র মজুত রাখার মতো ১৮টি মামলায় অভিযুক্ত এই ইয়াসিন। এর আগেও খোদ মুখ্যমন্ত্রী মালদহ জেলা কমিটির নেতৃত্বদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন তারা যেন ইয়াসিনের ওপর রাশ টানে। তা সত্ত্বেও ইয়াসিনকে জেলা কমিটির সদস্য করায় দলের অন্দরেই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সম্প্রতি ইয়াসিনের কলকাতার ফ্ল্যাটে এক দুষ্কৃতির মৃত্যুর ঘটনায় বেকায়দায় পড়েছে মালদহ জেলা তৃনমূল কমিটি। ২০১১ এর আগে ইয়াসিন ছিল বামপন্থী। ২০১৩ তে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেদের থেকে টিকিট না পাওয়ায় নির্দল প্রার্থী জয় লাভ করে। তারপর যোগ দেয় তৃনমূলে। রতুয়ার এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের ঘটনায় নাম জড়ায় ইয়াসিনের। বৃদ্ধা খুনেও অভিযুক্ত ছিল। এই দুটি ঘটনার জন্য বছর খানেক জেল খেটে আবার স্বমহিমায় ফিরে আসে। পঞ্চায়েত ভোটে ব্যালট বাক্স লুঠেরও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনও নজর রেখেছিল তখন ইয়াসিনের ওপর। ২০০৬ সাল থেকে তাঁর বিরুদ্ধে ১৮ টি মামলা নিযুক্ত আছে। নতুন করে জমি দখলের দুটি মামলা রুজু হয়েছে। ইয়াসিনের স্ত্রী পায়েল খাতুন মালদহ জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ্য।
তবে এবিষয়ে ইয়াসিনকে জিজ্ঞেস করা হলে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগই মিথ্যে।