মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee, CM) তৃতীয়বারের শপথ নেওয়ার দিন থেকেই ফের চরমে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। এরপর পত্র যুদ্ধ থেকে শুরু করে শীতলকুচির ইস্যু সবেতেই লেগে রয়েছে দ্বন্দ্ব। তবে এবার সংঘাত চরমে। ফের রাজ্যপাল পদ থেকে জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankar) অপসারণ চাইল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। এর আগেও কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই গতবছর শেষের দিকেও রাজ্যপালের অপসারণের দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল।
এবারেও ফের অপসারণের ডাক। কারণ তাঁদের দাবি, 'বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসায় ইন্ধন যোগাচ্ছেন ধনকড়। রাজ্যের পাশে না থেকে, তিনি হিংসা টেনে আনছেন। কাজেই তিনি আর রাজ্যপাল পদে থাকার যোগ্য নন। বেছে বেছে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন রাজ্যপাল। তৃণমূল কর্মীরাও আক্রান্ত হয়েছেন, অথচ তা নিয়ে মাথাব্যাথা তাঁর নেই।'
একই সুরে তৃণমূল সাংসদ শুখেন্দুশেখর রায় বলেন, "দিল্লির শাহেনশাদের এজেন্ট ধনকড়। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে হিংসায় ইন্ধন দিচ্ছেন তিনি। বিজেপি নেতার মতো কাজ করছেন। তিনি রাজ্যপালের পদে থাকার যোগ্যই নন। দ্রুত তাঁকে অপসারণ করা উচিত।"
উল্লেখ্য, শপথের দিন থেকেই ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শুরু করেছেন রাজ্যপাল। এই নিয়েও হাওয়া গরম ছিল তৃণমূল শিবিরে। এরপরেও কার্যত রাজ্য প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখেই রাজ্যের ‘হিংসা কবলিত’ এলাকাগুলি পর্যবেক্ষণ করেছেন জগদীপ ধনকড়। "গো ব্যাক" স্লোগানেও হয়নি কাজ, বরং বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে তিনি আসামে গিয়ে বলেছিলেন, "বাংলা থেকে বহু মানুষ হিংসার কবলে পড়ে অসমে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। পছন্দ মতো দলকে ভোট দেওয়ার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বিচারে আক্রান্ত হতে হচ্ছে বিরোধীদের। অথচ, পুলিশ প্রশাসন কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ। রাজ্যে বেলাগাম অরাজকতা চলছে। রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ। আর সহ্য করা যাচ্ছে না।"