এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয় আটকে কুরুচিকর স্লোগান ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তা-ও আবার পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) অধিকারী গড় বলে পরিচিত কাঁথিতে (Kanthi)। গোটা ঘটনায় বেজায় চটেছেন বিরোধী দলনেতা। উত্তর কাঁথি বিধানসভার মারিশদা (Marishda) থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী অনির্বাণ চক্রবর্তী। এমনকী এই ঘটনার প্রতিবাদে মারিশদা থানা ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতৃত্ব।
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন? গতকাল তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেত্রী সায়নী ঘোষের ত্রিপুরাতে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হচ্ছিল বিভিন্ন জেলায়। সেই মোতাবেক উত্তর কাঁথির মারিশদাতেও এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছিল। নেতৃত্বে ছিলেন কাঁথি তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা-নেত্রী। সেই সময় ১১৬ বি জাতীয় সড়ক দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় যাচ্ছিল। এমন সময় মারিশদা এলাকায় বিরোধী দলনেতার কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ। কুরুচিকর ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এমনকী প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও গোটা ঘটনাটি অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস কোন বিক্ষোভ দেখায়নি। বরং পুলিশের সাহায্য নিয়ে বিরোধী দলনেতার কনভয় যেতে দেওয়া হয়। তবে কোথাও এলাকার সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখালে তার দায় তৃণমূল কংগ্রেসের নয়।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার পর এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। ইতিমধ্যেই মারিশদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতার আইনজীবী। বিজেপির তরফে অভিযোগ এলাকার দুই দাপুটে তৃণমূল নেতা নন্দদুলাল মাইতি এবং বিকাশচন্দ্র বেজের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটেছে। এক সময় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকাকালীন এই দুই নেতা শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত স্নেহধন্য ছিলেন বলেও খবর। যদিও গোটা ঘটনাটি অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের দাবি, এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছিল। বিরোধী দলনেতার কনভয় যেতে কোন বাধা দেওয়া হয়নি। যদিও বিজেপি তা মানতে নারাজ। গোটা ঘটনায় মারিশদা এলাকায় তীব্র চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।