আজ দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণে ৩০ টি আসনের মধ্যে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ৯ কেন্দ্র যার মধ্যে অন্যতম কেশপুর। আর ঠিক গতকাল রাতেই কেশপুরে এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের দায়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গভীর রাতে ওই তৃণমূল কর্মীর পার্টি অফিসে চড়াও হয় একদল বিজেপি কর্মী এবং তাকে আক্রমণ করে, এমনটাই তৃণমূল পক্ষের অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে বিজেপি, তবুও রাজনৈতিক পরিচয় না দেখেই আপাতত সাত জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং কেশপুরকে মোড়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তায়।
ঠিক কি হয়েছিল গতরাতে? স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেশপুরের ৪ নম্বর ব্লকের দাদপুর গ্রামের হরিহরচক বুথে উত্তম দলুই নামের এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী তাদের দলীয় কার্যালয়ে রাতের খাওয়াদাওয়া করছিলেন আর ঠিক সেইসময় 'বিজেপির আশ্রিত দুষ্কৃতীরা' তার ওই কার্যালয়ে ঢুকে আচমকাই তাকে আক্রমণ করে ও টেনে হিঁচড়ে কার্যালয় থেকে বার করে আনে তারা। জোর করে চেপে ধরে কিছুটা দূরে একটি খাল ও তৎসংলগ্ন সাঁকোর কাছে নিয়ে গিয়ে উত্তমবাবুকে ছুরি ও অন্য ধারাল অস্ত্র দিয়ে পেটে-বুকে কুপিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। সারা দেহে আঘাতের স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হলেও শেষরক্ষা হয়নি। গতকাল গভীর রাতে হাসপাতালেই উত্তম দলুইয়ের মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিবারের তরফ থেকে বিজেপিকেই দায়ী করা হয়েছে। বিজেপির ওপর বর্তানো এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। এই মুহূর্তে গোটা এলাকায় টহল দিচ্ছে বিশাল পুলিশবাহিনী ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এই খুনের ঘটনায় স্বভাবতই উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূলের বিদায়ী বিধায়ক শিউলি সাহা যিনি গতবার প্রায় ৭১ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। এছাড়াও লড়াইয়ে রয়েছেন প্রীতিশ রঞ্জন কুয়াড় (বিজেপি) এবং রামেশ্বর দলুই (সিপিএম)।