প্রথম থেকেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের অভিযোগ, প্রধান বিরোধী বিজেপি উপনির্বাচন আটকাতে চাইছে। তথাগত রায়ের ফেসবুক পোস্টেও সেরকমই ইঙ্গিত মেলে। ফেসবুকে তিনি লেখেন, একটা থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন করা কি যায়? বলে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন। আর এর অব্যবহিত পরেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের চিঠি দেওয়া হয়। কেন এখন উপনির্বাচন করানো যাবেনা বা এর প্রতিবন্ধকতাগুলি কোথায়, সেগুলো উল্লেখ করেই দেওয়া হয় এই চিঠি।
এই মুহূর্তে উপনির্বাচন না করানোর কারণস্বরূপ যে বিষয়গুলি চিঠিতে তুলে ধরা হয়েছে সেগুলি হল, রাজ্যের করোনা এখনো নির্মূল হয়নি, লোকাল ট্রেন বন্ধ এবং বাসেরও অপ্রতুলতা, অক্টোবর মাস উৎসবে পরিপূর্ণ থাকে, এমনকি ওই সময়েই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা, মুখ্যত এই কারণগুলি। এছাড়াও বিজেপির অভিযোগ, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করে রাজ্যের শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। রাজ্য সরকারের দিকে সরাসরি তোপ দেগে বলেন, এখনো ১১২টি পুরসভার নির্বাচন আটকে আছে। তাছাড়াও শেষে যোগ করা হয়, রাজ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল, তাই এই উপনির্বাচন এখনই কোনো প্রয়োজন নেই।
আর বিজেপির এহেন আচরণে বেজায় রুষ্ট তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনের নিয়মানুসারে নির্বাচনের ৬ মাসের মধ্যেই উপনির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। সেই মোতাবেক, নভেম্বরের মধ্যেই করতে হবে উপনির্বাচন। বিজেপি আবারও হারের ভয় পাচ্ছে এবং সময় নষ্ট করিয়ে মুখ্যমন্ত্রীত্বের মেয়াদ ফুরিয়ে যায় যাতে, সেই চেষ্টায় নানা অজুহাত দিয়ে পিছিয়ে দিতে চাইছে উপনির্বাচনকে, দাবি তৃণমূলের। তাই উপনির্বাচনের দাবিতে এবার কমিশনে যাবে তৃণমূল। সংশ্লিষ্ট সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের করোনা রিপোর্ট নিয়েই কমিশনে হাজির হবে তৃণমূল। উপনির্বাচন সংক্রান্ত জট কবে কীভাবে কাটে, এখন সেটাই দেখার।