বৃহস্পতিবার বিকেলে শৃঙ্গলারক্ষা কমিটির বৈঠক বসেছে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। বৈঠকের কেন্দ্রবিন্দুতে যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিনের বৈঠকের মূল বিষয় ছিল পার্থকে সাসপেন্ড করা হবে নাকি সরাসরি দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। দলের বাঘা বাঘা নেতারা উপস্থিত থাকলেও এই বৈঠকে ছিলেন না মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাননীয়া আগেই বলেছিলেন, দোষীদের রেয়াত করে না দল। সেই মর্মে মঙ্গলবার পার্থর সরকারি গাড়িটাও বাজেয়াপ্ত করে বিধানসভা। মুখপাত্র কুনাল ঘোষ ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন, মন্ত্রিত্ব এবং দলের সমস্ত পদ থেকে ছেঁটে ফেলা তো বটেই, প্রয়োজনে পার্থকে দল থেকে বহিষ্কার করা হোক! সেইমর্মে বিকেলেই জরুরি বৈঠক বসে। তবে দোষ প্রমাণের আগে কি এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া সমীচিন? তাই আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বহিষ্কার নয়, সাসপেন্ড করা হচ্ছে পার্থকে।
মজার ব্যাপার হল, যে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক আজ ডেকেছেন অভিষেক, তার চেয়ারম্যান পার্থ নিজেই। কিন্তু ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার দরুন তাঁর সেখানে উপস্থিত থাকা হল না, দেখা হল না পদ হারানোর বিচার। এ এক অদ্ভুত সমাপতন! কমিটিতে পার্থ অভিষেক ছাড়াও রয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, রাজ্যের তিন প্রভাবশালী মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং প্রবীণ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকের এই তড়িঘড়ি বৈঠক কি দলের অন্দরের কোন্দল রোখার চেষ্টা? কেননা দুপুরেই কুনাল ঘোষ চোখা চোখা শব্দে বিঁধে তৃণমূলকেই দুষেছিলেন। এর উত্তর জানেন শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।