একুশে নির্বাচনের আগে ক্রমশ হিংসা বাড়ছে রাজ্যে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মাঝে প্রাণ হারাচ্ছেন দলের কর্মী সমর্থকরা। এবার খুন হল এক সিপিএম কর্মী। অভিযোগ উঠেছে তাকে খুন করেছে তৃণমূল। কারণ সেই ব্যক্তি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল। এমনটাই ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলা থানার হাসানপুরে। যদিও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল শিবির। জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে নৈশভোজন করছিলেন বছর ষাটের সিপিএম কর্মী গুরুচাঁদ রায়। হঠাৎই অজ্ঞাত পরিচয় ২ যুবক বাইকে করে বাড়ির সামনে আসেন। গুরুচাঁদবাবুকে ডাকলে তিনি তড়িঘড়ি খাওয়া সেরে বাড়ি থেকে বেরোন। কিন্তু তারপর অনেক রাত হলেও তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।

রাত্রিতে বাড়ি না ফেরায় দুশ্চিন্তা করে পরিবার ও প্রতিবেশীরা গুরুচাঁদবাবুকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর ওই ব্যক্তির রক্তাক্ত গুলিবিদ্ধ দেহ বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তখনো তার শরীরে প্রাণ থাকলেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। ওই ব্যক্তির দেহ এখন ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে ডালখোলা থানার পুলিশ। অন্যদিকে হেলমেট পরে আসায় অজ্ঞাতপরিচয় ২ বাইক আরোহীকে কেউ শনাক্ত করতে পারিনি।
জানা গিয়েছে, গুরুচাঁদবাবু সিপিএমের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তবে এলাকার গেরুয়া শিবির খুনের পেছনে রাজনৈতিক সম্পর্ক দেখেছে। সেখানকার বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেছেন, "ওই ব্যক্তি বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগদান করার কথা ভাবছিল। তাই পরিকল্পনা করে তৃণমূল ওই ব্যক্তিকে খুন করেছে।" যদিও তৃণমূল বিজেপির অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে। বর্তমানে ডালখোলা থানার পুলিশ ব্যাপারটি নিয়ে খতিয়ে তদন্ত করছে।