নির্বাচনের আগে ফের একবার চমক দিল বাংলার শাসকদল। নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের এক দিন আগেই প্রকাশ করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের অঙ্গীকারপত্র যা ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে। তৃণমূল সরকার পুণরায় ক্ষমতায় এলে কী কী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর, তা তুলে ধরা হয়েছে এই অঙ্গীকারপত্রে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ক্ষেত্রে চমকপ্রদ উন্নয়নের ইঙ্গিত দিচ্ছে তৃণমূল?
-
বেকারত্ব সমস্যাকে হাতিয়ার করে বারবার তোপ দেগেছেন বিরোধীরা। এই অঙ্গীকারপত্রে তাই ৫ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে বলে জানানো হয়েছে। তাদের দাবি, এতে বেকারত্ব কমে অর্ধেক হবে।
-
চরম দারিদ্র্যের হাত থেকে পরিত্রাণ পাবে রাজ্যের ৩৫ লক্ষ মানুষ। একেবারে দারিদ্র্য সীমার নীচে থাকা মানুষের সংখ্যা ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে আনা হবে।
-
আগের মতো এখন আর রেশন দোকানে লাইন দিতে হবেনা। বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দিতে আসছে 'দুয়ারে রেশন'প্রকল্প।
-
পরিবারগুলিকে স্বাবলম্বী করতে ১.৬ কোটি পরিবারের কর্ত্রীকে মাসিক ৫০০ টাকা দেওয়া হবে।
-
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৬৮ লক্ষ কৃষককে প্রতি বছর দশ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
-
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে উৎসাহ দিতে দশ লক্ষ MSME ইউনিট গড়ে তোলা হবে। বড়ো শিল্পে বিনিয়োগ হবে ৫ লক্ষ কোটি।
-
ব্লকে ব্লকে মডেল আবাসিক স্কুল ও ছাত্রছাত্রীদের অল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে।
-
'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পে ৫ লক্ষ আবাসন দেওয়া হবে। প্রতি ঘরে পৌঁছে যাবে বিদ্যুত ও জলের ব্যবস্থা।
ইতিমধ্যেই ঘোষিত হওয়া এই অঙ্গীকারপত্রে বেশ কিছু চমক দিয়েছে বাংলার শাসকদল, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এবং এই অঙ্গীকারপত্রে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আজ কালীঘাটে নিজের কার্যালয় থেকে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।