কখনো ভোট পরবর্তী হিংসা আবার কখনো গরু পাচার মামলায় সিবিআই হাজিরার মুখোমুখি হয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এই মুহূর্তে তিনি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। ঘন্টার পর ঘন্টা সিবিআইয়ের আধিকারিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। আর এবারে সিবিআই তলব নিয়ে মুখ খুললেন অনুব্রত। অভিযোগ জানিয়েছেন, বিজেপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সাজিয়ে তাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করছে। সিবিআই তলব নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বললেন, "আমি চুরিও করিনি। আমি ডাকাতিও করিনি। আমি মহাদেবের ভক্ত। মিথ্যা অভিযোগে আমাকে ডাকা হচ্ছে।" পাশাপাশি পদ্ম শিবির কে খোঁচা দিয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেছেন "বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনীতি করছে। সংগঠন কোথায় রয়েছে? যদি রাজনীতি করতেই হয় তাহলে মাঠে নেমে রাজনীতি করুক।"
সিবিআইয়ের তলব এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ দুই মাস ধরে রাজনীতির ময়দানে নেই অনুব্রত মণ্ডল। তবে বহুদিন পর মঙ্গলবার তৃণমূলের দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছেন তিনি। বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে জেলার তৃণমূল নেতাদের একটি সমাবেশ ছিল। সেখানেই দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। একুশে জুলাই এর তৃণমূল শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার বিষয়টা নিয়েও আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে। অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, "আমি একুশে জুলাই কলকাতা যাব। আমি হয়তো হাঁটতে পারবো না কিন্তু থাকবো।" তবে খুব শীঘ্রই যে আবারও সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করবেন অনুব্রত, সেটা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন আজ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল গরু পাচার মামলায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। ঠিক সেই মতো আগের দিন কলকাতায় চলে আসেন তৃণমূল নেতা। কিন্তু নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে যাওয়ার পথেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই একাধিক শারীরিক সমস্যা ধরা পড়ে তার। টানা ১৭ দিন ওই হাসপাতলে চিকিৎসাধীন থাকার পর আবারও ২ জুন সিবিআই আধিকারিকদের তলবে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হয় তাকে।