হলদিয়া বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক বলে পরিচিত বরাবর। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম হলদিয়াতে সভা করতে এলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হলদিয়ার রানিচকের সংহতি ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় এই হেভিওয়েট জনসভা। হাজির ছিলেন লক্ষাধিক সমর্থক। সভাস্থলের প্রায় ১ কিলোমিটার দূর থেকে গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশাল সংখ্যক পুলিশ ঘিরে রেখেছে ওই শিল্প শহরের রাস্তাঘাট। শুভেন্দুর জেলায় অভিষেকের ‘প্রথম’ সভায় নিরাপত্তার কড়াকড়ি যে থাকবে তা বলাই বাহুল্য।
এদিন সভামঞ্চে উঠেই শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থকদের কটাক্ষ করে বসেন অভিষেক। বলেন, "আজ থেকে আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হল হলদিয়ার সবার সঙ্গে। কিন্তু অনেক অনুগামী দলের বারোটা বাজানোর চেষ্টা করেছিল, তারা এই সভাতেও আছে। তাদের চিহ্নিত করেছি।" শুভেন্দুর সাথে সাথে বঙ্গবিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে অভিষেক বলেন, "ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচতে দিল্লির কাছে মেদিনীপুরকে বিক্রি করেছে। আপনাদের সবার বক্তব্য আমার কাছে আছে। আমরা দরজা খুললে ওদের দল উঠে যাবে।"
শিল্পনগরীর শ্রমিক সংগঠনকে অভিষেকের উপদেশ, "হয় ঠিকাদারি করুন, নয় তৃণমূল, দুটো এক সঙ্গে করতে হবে না। কোনও দাদার প্রতিনিধি নয়, নেত্রীর প্রতিনিধি হতে হবে। শ্রমিক সংগঠন করলে খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিনিধি হতে হবে।" ১২ ঘণ্টার কাজ করিয়ে আট ঘণ্টার বেতন দেওয়া চলবে না, এমনটাই দাবি করলেন তিনি। সঙ্গে হুঙ্কার দিলেন, "অন্যথা হলে মামলা করব।" আসন্ন ভোটের টিকিট নিয়ে আগাম সতর্কতাবানীও উঠে এল অভিষেকের কথায়। বললেন, "যাঁরা প্রথম থেকে তৃণমূল করে, তাঁরাই টিকিট পাবেন। আগামী ভোটে দলবদলুরা টিকিট পাবেন না। মানুষের দাবি নিয়ে নেতারা পথে নামুন। ১০০ দিন সময় দিন, একটাও ঠিকাদার থাকবে না।" অভিষেক এদিন সভামঞ্চে জননেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে বলেন, "আমিও সৈনিক, আপনিও সৈনিক, নেত্রী শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকাল থেকে কাজে নামুন। শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে পথে নামুন।"