সজল ঘোষের (Sajal Ghosh) গ্রেপ্তারিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুর থেকে উত্তাল মুচিপাড়া। অভিযোগ, অকারণে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বলেন, "যে কোনও একটা ইস্যু নিয়ে বিজেপির লোকজনকে কেস দেওয়া, ভয় দেখানো হচ্ছে। ক্লাবে কে কাকে ইভটিজিং করেছে তার জন্য একজন নেতার বাড়ির দরজা ভেঙ্গে অ্যারেস্ট করা হল। উনি কি ক্রিমিনাল নাকি? এরাই আবার দিল্লি যাচ্ছে, ত্রিপুরা যাচ্ছে। ত্রিপুরার বদলা নিচ্ছে নাকি এখানে! আমাদের কর্মীরা গিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আমরা সাড়ে তিন হাজার কেস লড়ছি। সজল ঘোষের পাশেও আছি, থাকব।" স্বামীকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে বলে এদিন দাবি করেছেন সজল ঘোষের স্ত্রী।
অন্যদিকে ত্রিপুরায় (Tripura) বিজেপিকে হারাতে এবার বামেদের সাহায্য চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। যদিও দিল্লি গিয়ে এমনই বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার ত্রিপুরার মাটিতে ফের পা রেখে আবারও সে কথা মনে করালেন ব্রাত্য বসু। তিনি বামেদের উদ্দেশ্যে এদিন বলেন, "ত্রিপুরায় বামেদের সঙ্গে পশ্চিমবাংলার বামেদের পার্থক্য আছে।" তবে বামেদের সঙ্গে জোট নয় বলেও দাবি তাঁর। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরদার করতে সেই রাজ্যের বামফ্রন্ট শিবিরকে উজ্জীবিত করে তুলতে চাইছে তৃণমূল (TMC)।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় বামেদের প্রভাব একেবারে কম নয়। ৬০ আসনের ত্রিপুরায় বামেদের দখলে এখন ১৬। তবে তৃণমূল কোনওভাবেই বামেদের সঙ্গে জোট করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।