একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) জিতে যাওয়ার পর বিরোধীপক্ষ বিজেপি (BJP) বারংবার ভোট-পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) প্রসঙ্গ নিয়ে শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলেছে। এরমধ্যেই গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata Highcourt) পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলার রায়ে জানায়, "খুন, অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং ধর্ষণের মতো গুরুতর ঘটনায় মামলা তদন্ত করবে সিবিআই (CBI)। এছাড়া অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত করবে পুলিশকর্তা সৌমেন মিত্র, সুমনবালা সাহু, রণবীর কুমারদের নিয়ে গঠিত সিট (SIT)। এই সিটের কাজে নজরদারি চালাবে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।" তবে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে উদ্বিগ্ন নয় তৃণমূল কংগ্রেস। আজ অর্থাৎ শনিবার দলীয় মুখপাত্র স্পষ্ট জানিয়েছেন, "নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস নিয়ে একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছে। রায় ইতিমধ্যেই সবাই জানেন। সেই রায় নিয়ে বিজেপি এবং মিডিয়ার একাংশ বড় বড় কথা বলছিল। গোটা রায় তৃণমূল কংগ্রেস খতিয়ে দেখবে এবং যথাসময়ে কথা বলবে। আইনে যা করণীয় তাই করবে। তবে আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বিন্দুমাত্র উদ্বিগ্ন নয় তৃণমূল কংগ্রেস।"
এছাড়াও তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, "ভোট-পরবর্তী হিংসায় ২১ জন মৃতের মধ্যে ১৬ জন তৃণমূলকর্মী। এই পরিস্থিতিতে আমরা কেন উদ্বিগ্ন হব? সিবিআই দিয়ে তদন্ত হোক। আর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট বিজেপির দলীয় ইস্তেহার। ইতিমধ্যেই হাইকোর্ট তার ১০ রকম ভুল বার করেছে। সময়মতো তৃণমূল আইনি পদক্ষেপ নেবে।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই সিবিআই রাজ্যকে চারটি জোনে (কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গ, পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরবঙ্গ ) ভাগ করে তদন্ত চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রতিটি জোনের দায়িত্বে থাকবেন একজন করে জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার। আগামী সোমবার চার জোনের জয়েন্ট ডিরেক্টর কলকাতায় আসবেন। তারপর তাঁরা রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন। ওই তথ্য অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করা হবে। এছাড়া অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত করবে সিট। তারপর ৬ সপ্তাহের মধ্যেই তার রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেবেন তাঁরা।