একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) গেরুয়াকে জব্দ করে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তারপর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে প্রবেশের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বাঙালি কন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই পদক্ষেপের প্রথম ধাপ হিসেবে তৃণমূল সুপ্রিমোর "পাখির চোখ" আগামী ২০২৩ সালের ত্রিপুরা (Tripura) বিধানসভা নির্বাচন। তাই ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা সফরে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এরপর থেকে তিনি নিজে প্রতি মাসে দুই থেকে তিনবার ত্রিপুরা সফরে যাবেন। এছাড়া ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য করে বাংলার পাঁচ নেতাকে ত্রিপুরায় সংগঠন তৈরি ও প্রসারের গুরুভার দিয়েছে কালীঘাট। তাঁরা হলেন পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইসির রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং প্রাক্তন বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী। তাঁদের নেতৃত্ব দেবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। দায়িত্বপ্রাপ্ত পাঁচ নেতা ত্রিপুরায় কি কাজ করবেন বা কিভাবে কাজ করবেন তা খতিয়ে দেখবেন তিনি। তাঁদের মধ্যেই একজন বলেছেন, "রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি করেই আমাদের ত্রিপুরা পাঠানো হচ্ছে। কি কি কাজ কি ভাবে করতে হবে তা ও বলে দেওয়া হয়েছে। কাজ করতে খুব একটা অসুবিধা হবে না।"
ওই পাঁচ নেতা আগরতলা এবং ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগঠন করবে। রাজ্য, জেলা এবং ব্লকস্তরের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত সাংগঠনিক বৈঠক করবেন। এছাড়া সাংবাদিক বৈঠক করে বিপ্লব দেব সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরবেন। ত্রিপুরার মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে কি করে মোদি সরকার দেশের মানুষের ক্ষতি করছে। পাশাপাশি বাংলার ঘাসফুল শিবির বঙ্গবাসীর জন্য কি কি জনমুখী প্রকল্প এনেছে, তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হবে। গোটা মাসজুড়ে ত্রিপুরা বিজেপিকে চাপে রাখার জন্য এমনটাই রণনীতি নির্ধারণ করা হয়েছে কালীঘাট থেকে।