২০১৯ সালে বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসেন জগদীপ ধনখড়। আর তরপর থেকে এই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত লেগেই রয়েছে। প্রায় প্রতিদিন খবরের শিরোনামে আসে রাজ্য রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব। এমনকি বর্তমানে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে একাধিকবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে সরানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদে প্রস্তাব আনতে চেয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়রা।
তবে সেই সংঘাতকে এবার অন্যমাত্রা দিল তৃণমূল। নিজেদের মুখপত্র অর্থাৎ 'জাগো বাংলা'-য় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে কার্যত ধুয়ে দিল শাসকদল। বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের পদলেহন করছেন রাজ্যপাল বলে সমালোচনার এমন চাঁচাছোলা ভাষা ব্যবহার করে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সাংবিধানিক পদে থাকা কারর সম্পর্কে এমন সমালোচনা করা যায় কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। তবে তৃণমূলের সাফ দাবি, রাজ্যপালের কর্মজীবন, অবসর, সম্পত্তির পরিমাণ ইত্যাদি সবই নির্ধারণ করছে বিজেপি।
তৃণমূল মনে করে, রাজ্যপাল যদি বিজেপির স্বার্থ চরিতার্থ না করতে পারেন তাঁকে রাজভবন ছাড়তে হবে। কিন্তু যদি বিজেপির স্বার্থসিদ্ধি করে দিতে পারেন তাহলে তিনি ভারতরত্ন-ও পেয়ে যেতে পারেন। তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপির চাটুকারিতা করে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সম্পাদকীয়-র শেষে কার্যত গেরুয়া শিবিরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়’।
অবশ্য এই প্রসঙ্গে পাল্টা জবাব দিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, "ধনখড় যেটা করছেন, তাতে বাংলা জাগবে, আর তৃণমূল চাইছে বাংলা পিছিয়ে যাক। দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচার করবে, আর রাজ্যপাল কি সব মেনে নেবেন। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে বশে আনতে পারছেন না, তাই জাগো বাংলা দিয়ে কুৎসা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি।"