গত লোকসভা নির্বাচনের আগেই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভোটের আগে এই প্রকল্প কার্যত মাস্টারস্ট্রোক ছিল, যা মনে করেন বিরোধীদের একাংশ। তবে তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরতেই কয়েক লক্ষ পরিবার এই কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা ভোগ করেছেন। শুধু সরকারি নয়, বেসরকারি হাসপাতালেও এই কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা করানো যায়। প্রসঙ্গত, এই কার্ডের মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা করা যায়।
তবে এবার স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে ক্যানসার চিকিৎসায় ওষুধের দাম এবার বেঁধে দিল রাজ্য সরকার। শুধু ক্যানসারই নয়, অর্থোপেডিক চিকিৎসা ক্ষেত্রেও প্যাকেজ নির্দিষ্ট করে দেওয়ার শীঘ্রই জানিয়ে দেবে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, সুস্থ মানুষকে রোগী সাজিয়ে ভর্তি করা হত নার্সিংহোমে। তারপর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করে তুলে নেওয়া হত হাজার হাজার টাকা। সেই টাকার কিছুটা দেওয়া হতো ভর্তি হওয়া ব্যক্তিকে, আর বাকি নিত হাসপাতাল। সম্প্রতি এমনই অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়াও বহুক্ষেত্রেই অভিযোগ ছিল, ক্যানসারের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা দামি ওষুধ লিখে দিতেন রোগীর প্রেসক্রিপশনে।সেজন্য এবার নড়েচড়ে বসল রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ওষুধের দাম বেঁধে দেওয়া নিয়ে একটি বৈঠক হয়। শহরের ১৫টি হাসপাতালের প্রতিনিধিরা এখানে হাজির ছিলেন। আর সেই বৈঠকেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের মধ্যে কী কী ওষুধ পাওয়া যাবে, কত টাকা দামের ওষুধ অনুমোদিত হবে, তা ঠিক করে দেবে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটি। ১০ দিনের মধ্যে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ জমা দিতে বলা হয়েছে।