রাজ্যে ভোটের ফল পরবর্তী হিংসায় সরব হয়েছিলেন বিরোধী পক্ষ। এমনকী রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় টুইটারে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শীতলকুচি এবং নন্দীগ্রাম পরিক্রমার পর মন্তব্য করেছিলেন, "একদিকে কোভিড,অপরদিকে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা চলছে। এই দু'য়ের ফলে বাংলা অত্যন্ত সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ভোটের পর হিংসার কথা আগে শুনিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নিন।" এবার ভোট পরবর্তী হিংসার প্রেক্ষিতে কড়া হল কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্টে ভোটের ফল পরবর্তী হিংসার একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, নির্বাচন পরবর্তী কোন সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাঁর পুনর্বাসনের দায়িত্ব রাজ্যকেই নিতে হবে। এদিন মামলাকারী বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা তিব্রেওয়াল জোরালো সওয়াল করেন শুধুমাত্র কলকাতার এন্টালি এলাকায় অন্তত ১২৫ জন ঘরছাড়া। শাসকদলের ভয়ে এলাকায় ফিরতে পারছেন না। গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। এর প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল জানান, "এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের রাজ্যকে পুনর্বাসন দিতে হবে।" এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের কীভাবে ঘরে ফেরানো হবে সে নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন এক বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, "ক্ষতিগ্রস্তদের চিহ্নিতকরণ কীভাবে সম্ভব? তাঁরা কি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন?" যদিও এ বিষয়ে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি বলে খবর। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৫ মে হবে বলে জানা গেছে।
ভোট চলাকালীন হিংসার বলি শীতলকুচির নিহত পরিবারের একজন করে রাজ্যে হোমগার্ডের চাকরি তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে হিংসা বন্ধের কড়া বার্তা দেওয়া হলেও হিংসা বন্ধ করা যায়নি। তারপরও একের পর এক খুন, ধর্ষণ, লুঠতরাজের ছবি সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে। রাজ্যপাল তা নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন। এবার হাইকোর্টেও প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি তিনি সাফ জানিয়েছেন, ভোটের ফল পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সব ধরণের সাহায্য রাজ্যকেই করতে হবে।