শুভেন্দু অধিকারীকে কয়েকটি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শাসক দলে থাকাকালীন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বেশ কয়েকটি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান ছিলেন। দলবদলের পরও সেই দায়িত্ব গুলিতে তিনি থেকে গিয়েছেন। তা নিয়ে শাসকদলের মধ্যে ইতিমধ্যেই জোর চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি কাঁথি, তমলুক ও মেদিনীপুর সমবায় ব্যাঙ্কে অন্তর্বর্তীকালীন তদন্তের কাজ শুরু করেছে অর্থ দফতর। ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসার, চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ড এবং অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে একটি বিশেষ টিম তৈরি করে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, "দুর্নীতির অভিযোগ পেলে তদন্ত করতে আমরা বাধ্য। সেখানে দেখতে হবে, বেনামি অ্যাকাউন্ট কত আছে। ভূতের নামে কত অ্যাকাউন্ট আছে দেখা হবে। ভূতদের তো বার করতে হবে! সেই অ্যাকাউন্টটা সরকারের কাছে আসবে। সেই জন্য ভূতেদের মুখে রাম নাম চলছে, হরিনাম চলছে, সব কিছু কেস করে বন্ধ করে দিতে হবে।"
রাজ্যে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে প্রকৃত তদন্তের দাবিতে চিঠি দেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের শাসকদল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এর পরপরই রাজ্য সরকার রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্ক গুলির তদন্তের কাজ শুরু করেছেন মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক একাংশ। উল্লেখ্য, কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে চুরির ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে আসে কীনা তাই এখন দেখার বিষয়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, "কাঁথির ব্যাঙ্কে চুরির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন অডিট হচ্ছে। আরও দু-তিনটি ব্যাঙ্কে হচ্ছে। রিট পিটিশন করে বসে আছে কিছুজন, যাতে অডিট না হয়। কেন এত ভয়? পর্দার পিছনে কী আছে? আটকে দেওয়া, যাতে তদন্ত না হয়! কলকাতা হাই কোর্টকে আমি সম্মান করি। সেই সম্মানটা যেন অক্ষুণ্ণ থাকে। অনেক বেনামি অ্যাকাউন্ট আছে।"
অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন, "কেউ কেউ মুখ্যমন্ত্রীর দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলে তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে। সরকার এক একটা ব্যাঙ্কে তদন্ত করছে। বিপদে ফেলতে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করা হচ্ছে। সেচমন্ত্রী বিজেপিতে চলে এসেছেন, তাই সেচ বিভাগেরও তদন্ত হবে। তা হলে টেট-এসএসসি নিয়ে কেন তদন্ত হল না?" এখন দেখার বিষয় সমবায় ব্যাঙ্কের তদন্তে কোন তথ্য উঠে আসে, মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।