নির্বাচনের মতো ভোটগণনার দিনও টানটান নাটক চলেছিল নন্দীগ্রামকে (Nandigram) ঘিরে। সকাল থেকেই রীতিমতো সাপ-লুডো খেলা চলেছিল। কখনও এগিয়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। কখনও আবার মমতা। তবে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ জানা যায়, ১২০০ ভোটে নন্দীগ্রাম আসনে জয় লাভ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরপরেই সংবাদমাধ্যমে ভরে ওঠে খবরের রব, এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও আসে শুভেচ্ছা বার্তা।
এমনকি খোদ রাজ্যপালও মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করেন। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে বদলে যায় ছবি। জানানো হয়, মমতা নন, নন্দীগ্রামে জয় পেয়েছেন শুভেন্দু। এরপরেই জয় ঘোষণার পরই ট্যুইটারে শুভেন্দু লিখেছিলেন, "আমার উপর বিশ্বাস ও ভরসা রাখার জন্য নন্দীগ্রামের প্রতিটি মানুষকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই জয় নন্দীগ্রামে প্রতিটি মানুষের জয়। আগামী দিনে নন্দীগ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করাই আমার সংকল্প।"
তবে প্রথমে মমতা, এরপর হঠাৎই ছবি কেন বদলে গেল? মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর অনুগামীরা এরপরেই পুনর্গণনার দাবি জানায়। পরে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী একটি মেসেজ দেখিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ খোলেন। বলেন, নন্দীগ্রামে চক্রান্ত হয়েছে বলে দাবি করার পাশাপাশি প্রকাশ্যে আনেন রিটার্নিং অফিসারের একটি মেসেজ। যেই মেসেজে লেখা ছিল, "প্লিজ ক্ষমা করে দিন। আমি যদি রিকাউন্টিংয়ের নির্দেশ দিই তবে আমাকে খুন করা হবে। রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার পরিবার ধ্বংস করা হবে। আমার ছোটো মেয়ে আছে।"
এবার নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে দিল্লির তরফে। অন্যদিকে লাগাতার প্রাণনাশের হুমকির জেরে মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের রিটার্নিং অফিসারের বাড়িতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত সরকার।