তিনি একুশের নির্বাচনে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বনগাঁ দক্ষিণের প্রার্থী ছিলেন। যদিও বিজেপি (BJP) প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে পরাজিত হন। পরাজয়ের পর তিনি আদালতে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই মামলায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন আলোরানি সরকার। নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। এরপর দল তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেন। যদিও সেই পদ অচিরেই তিনি খোয়ান। শুক্রবার হাইকোর্টে হয় সেই মামলার শুনানি। শুনানির সময় প্রতিপক্ষ বিজেপি বিধায়কের আইনজীবী অভিযোগ করেন, আলোরানি সরকার বাংলাদেশের ভোটার। ভারতের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের নাগরিকত্ব আছে তাঁর। আদালতে যাবতীয় তথ্য প্রমাণাদি দাখিল করেন বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের আইনজীবী। যদিও আলোরানি সরকারের আইনজীবী পাল্টা কোন তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেননি বলে খবর।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর গভীর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ভারতীয় সংবিধানে দ্বৈত নাগরিকত্বের কোন স্থান নেই। একজন বাংলাদেশের ভোটার কীভাবে নির্বাচনে অংশ নিলেন সে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আদালত নির্বাচন কমিশনকে আলোরানি সরকারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।
আলোরানি সরকার একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। নির্বাচনের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের বহু হেভিওয়েট নেতা তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে গিয়ে প্রচার করতে দেখা গেছে। এমন অভিযোগের পর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।