রাজ্যজুরে চলছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প "লক্ষ্মীর ভাণ্ডার" (Lakshmir Bhandar Scheme)-এর ফর্ম ফিলাপ। তবে এ নিয়েও সমস্যার শেষ নেই। একাধিক জায়গায় অভিযোগ উঠেছে, টাকার বিনিময়ে চলছে ফর্মফিলাপ। আবার অনেক ক্ষেত্রেই গ্রামবাসীদের অধিকাংশই ফর্ম ফিলআপ করতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে রাজ্য জুড়েই বিপুল উৎসাহ তৈরি হয়েছে৷ লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পগুলিতে ভিড় উপচে পড়ছে৷ অনেক জায়গায় বিশৃঙ্খলাও সৃষ্টি হচ্ছে৷
নবান্ন সূত্রে খবর, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে রাজ্য জুড়ে প্রায় ৯০ লাখেরও বেশি আবেদন এসেছে। এর মধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডারেই সব থেকে বেশি আবেদন। কাজেই অভিযোগেরও শেষ নেই। এবার এই ইস্যুতেই ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রামবাসীরা কেন লক্ষ্মীর ভান্ডারের আবেদন পত্র ফিল আপ করছেন?
এরপরেই এদিন মুখ্যসচিব(Chief Secretary) সমস্ত জেলাশাসকদের কার্যত কড়া সুরে বার্তা দিয়ে বলেন, "কিছু ঘটনা নজরে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে গ্রামবাসী ও অন্যান্যরা মহিলাদের সহযোগিতা করতে হচ্ছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম ফিলাপ করার জন্য। আমরা এক্ষেত্রে কন্যাশ্রীদের ব্যবহার করে ফর্ম ফিলাপ করতে পারি।জেলাশাসকরা প্রয়োজনে আলোচনা করুন। নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য, ক্লাবগুলি ও অন্যান্যদের দুয়ারে সরকার প্রকল্প থেকে দূরে রাখতে হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য, কন্যাশ্রীদের ও কলেজ ছাত্রীদের ব্যবহার করা যেতে পারে এই কাজে।"
প্রসঙ্গত, মুখ্য সচিব বারংবার জেলাশাসকদের সতর্ক করেছেন লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম ফিলাপকে কেন্দ্র করে। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বৃদ্ধি করেছিলেন ফর্ম ফিলাপের সময়। তাতেও মিলল না উপকার। এবার তাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে জালিয়াতির রাশ টানতে নয়া উদ্যোগ নবান্নের। প্রসঙ্গত, পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে চালু হওয়ার কথা ছিল "লক্ষ্মীর ভান্ডার" প্রকল্প। তবে তার আগে বেআইনিভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম বিলি করার একাধিক অভিযোগ এসেছিল। সে সময়েও কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডারের নামে ফর্ম বিক্রি করলে কড়া ব্যবস্থা নিন।