চোখের সামান্য ছানির অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে পুরো চোখই চিকিৎসকদের গাফিলতির জেরে নষ্ট হয়ে গেল এক প্রৌঢ়ের। এমনই অভিযোগ উঠেছে রানাঘাটের মিশন রোডের নেত্রজ্যোতি চক্ষু হাসপাতালের বিরুদ্ধে। বিপাকে পড়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন অসহায় ওই চা বিক্রেতা। চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চায়ের দোকান চালানোই দুষ্কর হয়ে গিয়েছে তাঁর। এর ফলে টান পড়েছে রোজগারে।
ইতিমধ্যেই তাঁর দুর্দশার কাহিনি রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথালমোলজিতে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশন।
জানা গিয়েছে, নদিয়ার বাসিন্দা অশোককুমার ধীর (৬৩) ও তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা। একটি চায়ের দোকান আছে তাঁদের। কিছুদিন আগে অশোকবাবুর চোখে ছানির সমস্যা শুরু হয়। অভিযোগ, ছানির অস্ত্রোপচার করতে গিয়েছিলেন রানাঘাটের মিশন রোডের নেত্রজ্যোতি চক্ষু হাসপাতালে যান অশোকবাবু। আর তারপরেই চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই তাঁদের এই অবস্থা হয়েছে, অভিযোগ দম্পতির।
এর পরেই রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন অসহায় ওই চা বিক্রেতা। যদিও নেত্রজ্যোতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, "অস্ত্রোপচারে গাফিলতি হয়েছিল। তার সংশোধন করতে কলকাতায় অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছিলাম। সে টাকা দিয়েছিল নেত্রজ্যোতি হাসপাতাল। কিন্তু লাভ হয়নি।"
এদিকে হাসপাতালের এমন মন্তব্যকে 'অমানবিক' বলে আখ্যা দিয়ে স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যে বক্তব্য আমরা পেয়েছি তা অত্যন্ত অমানবিক। নেত্রজ্যোতির কর্ণধার আমাদের জানিয়েছেন এই চাওয়ালার উদ্দেশ্য ঠিক নয়।"