নন্দীগ্রাম বিধানসভার ভোট সংক্রান্ত সমস্ত নথি সংরক্ষিত রাখতে হবে, বলাবাহুল্য নিরাপদে রাখতে হবে ঠিক ততদিন যতদিন পর্যন্ত মামলার নিষ্পত্তি না হচ্ছে। বুধবার নন্দীগ্রাম মামলার (Nandigram Case) অনলাইন শুনানি শেষে সিইওকে এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি শম্পা সরকার। এমনই নোটিশ পেলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, নির্বাচন কমিশন, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার।
এদিকে নন্দীগ্রাম মামলা অন্য হাইকোর্টে সরানো হোক। এমনই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। খবর, বুধবারই নন্দীগ্রাম মামলায় শুভেন্দুকে নোটিশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ইভিএম, নথি, ভিডিয়ো রেকর্ডিং-সহ নির্বাচনের যাবতীয় নথি সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ মে রাজ্যে বিধানসভা ভোটে গণনার শুরু থেকে নন্দীগ্রামে এগিয়ে ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু। পরে কয়েকটি রাউন্ডে এগিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে জয়ী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর নাম সংবাদমাধ্যমে উঠে এলেও, রদবদল হয়ে নাম আসে শুভেন্দুর। এরপরেই নানান তরজা। পরে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। ১২ জুলাই নন্দীগ্রাম মামলার বেঞ্চ বদল হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন মেনে কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কৌশিক চন্দ নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। নিয়ম মেনে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষের ৪৫ দিনের মধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবুও মামলা নিষ্পত্তি না হতেই সমস্ত নথি সংরক্ষণের নির্দেশ দেন বিচারপতি।