ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ বা ‘ইয়াসে’র (Cyclone Yaas) প্রভাবে তছনছ দিঘা এবং তাঁর পার্শ্ববর্তী এলাকা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকার অবস্থাও প্রায় একইরকম। সেই নিয়েই ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আজ কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। কিন্তু এই বৈঠক নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা। আদৌ কলাইকুন্ডার বৈঠকে মমতা থাকবেন কিনা, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তার মেঘ। তবে কলাইকুন্ডার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী (Debashree Choudhury) এবং বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)।
তবে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ যশ বিধ্বস্ত হিঙ্গলগঞ্জের উদ্দেশে হেলিকপ্টারে করে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারাও। সেখানে পৌঁছেই হিঙ্গলগঞ্জের কলেজে শুরু হয় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক। এই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, "ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ইস্যু করবেন না। দুর্গতদের ত্রিপল দিতে যেন কার্পণ্য না হয়। সবাইকে মাস্ক, ওয়াটার পাউচ দেওয়া হচ্ছে। ত্রাণশিবিরে যাঁরা আছেন, তাঁদের সমস্যা যেন না হয়।" প্রশাসনিক কর্তাদের সতর্ক করে সাফ কথা মমতার।
পাশাপাশি বসিরহাট, হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় ভেঙে যাওয়া ৫৫টি বাঁধ, এবং বেশ কয়েকটি রাস্তাও বেহাল। এসবের দ্রুত মেরামত করতে হবে, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর সঙ্গেই বারংবার মুখ্যমন্ত্রীর একই বার্তা, "খাবার ও ত্রাণ নিয়ে কোনও বঞ্চনা চাই না। যাঁদের যা প্রয়োজন, তা দিতেই হবে। সকলে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কোনও অভিযোগ যেন না শুনতে হয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, ওষুধ দিতে হবে। বিশেষ নজর দিতে হবে গর্ভবতী ও প্রসূতিদের দিকে। কোনওরকম বঞ্চনার কথা আমি শুনবো না।"